ভারত আর অ্যাসোসিয়েশন অফর সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস( ASEAN) একাধিক বিষয়ের উপর উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তার মধ্য়ে অবৈধভাবে মাছ ধরা, জলজ সম্পদকে অবৈধভাবে আহরণ করা, মেরিন টেকনোলজির উন্নতিকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জাকার্তাতে এশিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটের পরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সামিটে অংশ নিয়েছিলেন। এনিয়ে যৌথভাবে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। তার মধ্যে খাদ্য সুরক্ষা, পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়গুলি ছিল। চাল ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের উপর জাতীয় নীতি তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হয়েছিল।
সেই সঙ্গেই আসিয়ান-ইন্ডিয়ান যৌথ ব্যবস্থাপনায় শান্তি, উন্নতির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। ২০২১-২০২৫ সাল পর্যন্ত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
এই দুপক্ষ জাহাজে সশস্ত্র ডাকাতি রুখতে, মানব পাচার, অস্ত্র ও ড্রাগ পাচার করা, অবৈধভাবে মাছ ধরা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমণ্বয় রক্ষা করে কীভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেব্যাপারে উদ্যোগ নেওয় হয়েছে।
সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু প্রয়োগের ব্যাপারে পারস্পরিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে আসিয়ান দেশগুলি ও ভারতের মধ্য়ে পারস্পরিক সমণ্বয় আরও বৃ্দ্ধির ব্য়াপারে কথাবার্তা হয়েছে। সামুদ্রিক যে বর্জ্য রয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপগ্রহ মারফৎ তথ্য আহরণ করা, দুর্যোগের ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদানের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা ও পুষ্টির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপরেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আসিয়ান দেশগুলির নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, পারস্পরিক সমতা, অংশীদারিত্ব, পারস্পরিক কথাবার্তা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তি বজায় রাখা, নিরাপত্তা, স্থিতাবস্থা বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।