লাগাতার বৃষ্টিতে অসমে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। সম্প্রতি ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৫টি প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার জলে ডুবে মারা গিয়েছেন ডিব্রুগড় জেলার বরপেটা ও গোয়ালপাড়া অঞ্চলের দুই ব্যক্তি। চলতি মরশুমে অসমে বন্যার কারণে মোট ২৪ জন মারা গেলেন।
অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ জানিয়েছে, বরাক উপত্যকা ছাড়া রাজ্যের ৭২টি রাজস্ব সার্কেলের ২,২০২টি গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা ও নলবাড়ি জেলা। ভিটেছাড়া হয়েছেন প্রায় ২৭,৫০০ বাসিন্দা। তাঁদের ১২টি জেলার ২৭৩টি ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত প্লাবনে আটকে পড়া ১০,২০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে নৌকায় উদ্ধার করেঠে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। নষ্ট হয়েছে রাজ্যের ৮৩,১৬৮ হেক্টেয়ার কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ায় নষ্ট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার ফসল।
বন্যায় ভয়াবহল ক্ষতির মুখে পড়েছে কাজিরাঙ্গা ও ওরাং জাতীয় উদ্যানের মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ অভয়ারণ্য। কাজিরাঙ্গাতে বন দফতরের ২০৩টি শিবিরের মধ্যে ১৪৬টি বন্যার জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে। ওরাংয়ে ৪০টির মধ্যে বন দফতরের ২২টি শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে.
মোট ১২ জায়গায় নদীবাঁধ ধসে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আটটি বানভাসি জেলায় ৮৬টি রাস্তা ভেঙে পড়েছে অথবা জলের নীচে তলিয়ে গিয়েছে। বরপেটায় বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। নলবাড়ির বাকসা এলাকায় একটি সেতুর অর্ধেক ডুবে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় জল কমিশনের রিপোর্ট বলছে, নেমাতিঘাট, তেজপুর, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া ও ধুবরিতে বিপদসীমার উপরে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদ। একাধিক জায়গায় লাল সংকেতের কাছাকাছি বয়ে চলেছে অসমের আরও সাতটি নদী।