মঙ্গলবার কাবুলের একটি সামরিক হাসপাতালে হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং ৫০ জন জখম হয়েছে। তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানের সর্বশেষ নৃশংসতার ঘটনা এটি। তালিবানের প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসআইএস রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বন্দুক ও বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস-এর সহযোগী ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, 'ইসলামিক স্টেট গ্রুপের পাঁচ যোদ্ধা একযোগে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে'। জানা গিয়েছে, প্রথমে এক আত্মঘাতী জঙ্গি হাসপাতালের গেটের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর বন্দুকবাজরা হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে।
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, হামলার ১৫ মিনিটের মধ্যেই নাকি তারা প্রতিহত করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আইএস জঙ্গিরা হাসপাতালের সাধারণ নাগরিক, চিকিৎসক ও রোগীদের টার্গেট করতে চেয়েছিল।' তিনি জানান, আফগানিস্তানের প্রাক্তন মার্কিন-সমর্থিত সরকারের কাছ থেকে গোষ্ঠীটি যে হেলিকপ্টার বাজেয়াপ্ত করেছিল তার একটিতে করে তালিবান 'স্পেশাল ফোর্স'কে হাসপাতালের ছাদে নামানো হয়েছিল।
হামলা প্রসঙ্গে তালিবানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এখ কর্তা বলেন, '১৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০ জন জখম ব্যক্তিকে কাবুলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।' তিনি জানান, হামলার জেরে হাসপাতালের বাইরে দুই তালিবান সদস্য, দুই নারী ও এক শিশুও প্রাণ হারিয়েছে।