তানিষ্ক সুজিত। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের অত্যন্ত মেধাবী পড়ুয়া।মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে ব্যাচেলার অফ আর্টসের পরীক্ষায় বসেছে। আগামী দিনে তার লক্ষ্যও তিনি জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীকে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সী কিশোরী। কোভিডে তিনি তার বাবাকে হারিয়েছে। কোভিডে তিনি তার দাদুকে হারিয়েছেন ২০২০ সালে। কিছুদিন আগেই ভূপালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আর তখনই তাকে আগামীদিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইন্দোরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিষ্কা সুজিত। সোমবার তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আগামী ১৯-২৮ এপ্রিল বিএর সাইকোলোজি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষায় তিনি বসবেন।
তিনি প্রথম বিভাগে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এরপর তিনি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসেন। তখন তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসাল সায়েন্স বিভাগের হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট রেখা আচার্য জানিয়েছেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে সুজিত বিএ সাইকোলজির প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও অত্যন্ত ভালো রেজাল্ট করেছিলেন সুজিত। তার বিষয়টি স্পেশাল কেস হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
এদিকে কমবাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১ এপ্রিল ভূপালে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই তানিষ্ক সুজিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় ১৫ মিনিট তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সুজিত জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, তিনি আমেরিকায় আইন পড়তে যেতে চান। বিএ পরীক্ষার পরে তিনি সেখানে যেতে চান। একদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেয়ারে বসতে চান।
তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আমার স্বপ্নের কথা জেনে আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বিচারপতিদের শুনানি শুনতে পারো। এতে তুমি আরও বেশি উৎসাহ পাবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার আমার স্বপ্নপূরণের আর এক ধাপ।
তানিষ্কের মা অনুভা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে আমার স্বামী ও শ্বশুরকে কোভিডে হারিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়েকে মানুষ করতে হবে শুধু এই লক্ষ্যে আমি সব দুঃখ ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।
তিনি বলেন পরিবারের দুজন সদস্যকে হারিয়ে আমি একেবারে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। দুতিন মাস পরে আমি অনুভব করতে শুরু করি মেয়ের পড়াশোনার জন্য আমায় সব ভুলে আমায় লড়াই করতেই হবে। সেকারণে তারপর থেকে আমি নতুন লড়াই শুরু করি।