শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে রাহুল গান্ধীর কাছে এল নিরর্বাচন কমিশনের সত্রক বার্তা। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই নরেন্দ্র মোদীকে ‘পনৌতি’ (অপয়া) বলে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী। এমন ধরনের মন্তব্য জনসমক্ষে করার ক্ষেত্রে রাহুলকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র উল্লেখ করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে।
গত ডিসেম্বর মাসে দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশিকা অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। সেই নিরিখেই কমিশন তাদের প্রকাশ করা অ্যাডভাইসারি মেনে চলার কথা রাহুলকে জানায়। এই অ্যাডভাইসারি, ভোট প্রচারে তারকা প্রচারক ও রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এনেছে নির্বাচন কমিশন। অ্যাডভাইসারিতে সাফ বার্তায় জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলেই কমিশন কড়া পদক্ষেপ করবে। এছাড়াও সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার জন্য যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা বা তারকা প্রচারকরা আগে নিয়ম ভাঙায় অভিযুক্ত, তাঁরা ফের নিয়ম ভাঙলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত বছর রাহুল গান্ধীকে নির্বাচন কমিশন একটি নোটিস পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘অপয়া’, ‘পকেটমার’ ইত্যাদি মন্তব্যের জন্য কমিশনের তরফে রাহুলকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এই সমস্ত মন্তব্য নিয়ে এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট, রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠানোর জন্য গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে বলে। কোর্ট জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রাহুলের করা এই সমস্ত মন্তব্য ‘ভাল মানের কথা নয়’। কোর্টের সেই নির্দেশ মেনে নির্বাচন কমিশন রাহুলকে বলা হয়েছে,'ভবিষ্যতে জনসমক্ষে আরও সচেতন ও সতর্কভাবে বক্তব্য রাখতে।'
উল্লেখ্য, এই ‘অপয়া’ মন্তব্য কাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টের রায়, রাহুল গান্ধীর প্রত্যুত্তর সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তারপর কমিশন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন বলছে, যেহেতু রাহুল ভোটে তারকা প্রচারক, তাই তাঁর উচিত এই বিষয়ে কমিশনের জারি করা অ্যাডভাইসারিকে মেনে চলতে। এই অ্যাডভাইসারি তারকা প্রচারক ও রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ১ মার্চ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর রাহুলকে ওই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন এই ইস্যুতে রাহুলের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। উল্লেখ্য, আদানি ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাহুল তাঁর মন্তব্যে মোদীকে ‘পকেটমার’ বলে একবার উল্লেখ করেছিলেন। এরপর গত বছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘অপয়া’ বলেও কটাক্ষ করেন রাহুল।