উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার পর সেই জায়গায় নির্মিত হয়েছে রাম মন্দির। তার উদ্বোধনকে ঘিরে অধীর আগ্রহে রয়েছেন দেশবাসী। ঠিক সেই সময় মুঘল সাম্রাজ্য নিয়ে বিহারের একজন প্রবীণ মন্ত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মন্ত্রী অশোক চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, ভারতের গণতন্ত্র শক্তিশালী কারণ মুঘলরা এই দেশ শাসন করেছিল। এমনকী তারা ইসলাম ধর্মও প্রচার করেছিল।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে স্বাতীর প্রশংসা মোদীর, কী বললেন রাম আয়েঙ্গের গায়িকা?
শুক্রবার জামুইতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী কারণ আমরা মুঘলদের দ্বারা শাসিত ছিলাম। তারা এই দেশকে লুট করেনি। যেমন ব্রিটিশরা করেছিল। মুঘলরা পালিয়ে যায় নি। ভারতে যা ছিল তা রেখে দিয়েছিল তারা। কিন্তু ব্রিটিশরা আমাদের সম্পদ লুট করেছে এবং অর্থ ও অস্থাবর সম্পত্তি ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছে। আমাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে।’ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত অশোক চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, মুঘলরা ইসলামকে প্রচার করেছিল।
এপ্রসঙ্গেই রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের মিশ্রণকে খারাপ বলে জানিয়ে মন্ত্রী বিজেপিকে রাম মন্দির নিয়ে ফায়দা তোলার অভিযোগ করেছেন। মন্ত্রী রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি করার জন্য বিজেপির সমালোচনা করেন। তিনি মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের সমস্যাগুলিও তুলে ধরেন যা সমাধান করা দরকার বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মন্দিরের রাজনীতিকরণ ন্যায়সঙ্গত নয়। নয়াদিল্লির সরকারকে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ভাবতে হবে।’ কীভাবে একজন ব্যক্তি খালি পেটে রামের নাম জপ করতে পারে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী।বিজেপি রাম মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব পেতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় কেন্দ্রীয় সরকার বেকারত্ব দূর করার পরিকল্পনা ঘোষণা করলে ভালো হবে।
উল্লেখ্য, বিজেপির দাবি জেডি(ইউ) দুর্বল হয়ে পড়ছে। অশোক চৌধুরী এই ধরনের দাবিকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন। দল দুর্বল হয়ে যাওয়ার পর থেকে নীতীশ বারবার বৈঠক করছেন এমন খবর অস্বীকার করে মন্ত্রী দাবি করেছেন, যে তাদের দল মজবুত রয়েছে এবং দল সম্পূর্ণরূপে ঐক্যবদ্ধ। অন্যদিকে, রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পাননি শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তবে তিনি বলেছিলেন, যে তিনি আমন্ত্রণ ছাড়াই যে কোনও সময় মন্দিরে যেতে পারেন। ঠাকরে জোর দেন যে উদ্বোধন নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।