ডিউটিতে ছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক। শুভেন্দু অধিকারী যখন সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন তখন তাঁর ডিউটি করছিলেন ওই পদস্থ পুলিশ কর্তা। আর পাগড়ি পরিহিত সেই পুলিশ আধিকারিককে বিজেপি খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করেছে বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী এই কটাক্ষ করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। তারপর থেকে এনিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের প্রশ্ন এভাবে পাগড়ি পরিহিত কোনও পুলিশ আধিকারিককে কি খলিস্তানি বলে আখ্য়া দেওয়া যায়?
এদিকে মুখ্য়মন্ত্রী এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বিজেপির মতে পাগড়ি পরিহিত সকলেই খলিস্তানি। এরা শিখদের দেশের প্রতি ভালোবাসা ও বলিদানকে ভুলে গিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, আজ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি ফের প্রকাশ্য়ে এল। সাংবিধানিক গন্ডিকে ছাপিয়ে গেল বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতি। বিজেপির মতে, পাগড়ি পরা সমস্ত মানুষই খলিস্তানি।
এভাবে শিখ ভাই বোনেদের খ্যাতিকে এভাবে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা করছি। দেশের প্রতি তাঁদের আত্মত্যাগের ঘটনা অস্বীকার করা যায় না।
আমরা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। এই সম্প্রীতিকে ভাঙার বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নেব।
সেই সঙ্গেই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই পুলিশ কর্তা আইপিএস যশপ্রীত সিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপির নেতা নেত্রীরা। আচমকাই ওই পুলিশ কর্তা চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমি পাগড়ি পরেছি বলে আমায় খলিস্তানি বললেন কেন? একজন পুলিশ কর্তাকে আপনি একথা বলতে পারেন না। আপনি কেন আমায় খলিস্তানি বলে উল্লেখ করলেন। আমার ধর্ম নিয়ে কেন কথা বলছেন? এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়। তবে এনিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে পরে সংবাদমাধ্য়মের তরফে এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য করি না। এই ধরনের কথা বলাকে আমরা কোনওভাবেই সমর্থন করি না। তিনি নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য মমতা ব্যানার্জির কাছে অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছেন। আমরা কোনও ধর্মকে আক্রমণ করে কোনও দিন কিছু বলিনি কিছু বলবও না।
এদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তাঁর মতে, এই ধরনের ঘটনা মানা যায় না। তিনি ডিউটি করছিলেন। তখনও আদালতের নির্দেশ আসেনি। সেকারণেই তিনি ওখানে আটকেছিলেন। কিন্তু সেই আইপিএসকে খলিস্তানি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা করা যায় না।
এদিকে সূত্রের খবর, সন্দেশখালি ইস্যুতে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে তৃণমূল। সেই পরিস্থিতিতে এবার এই খলিস্তানি ইস্যুকে সামনে এনে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপির কার্যালয় ঘেরাও করার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।