পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়া থেকেই খুশির হাওয়া বইছে পদ্ম শিবিরে। তবে এরই মাঝে সতর্ক গেরুয়া শিবির। জয়ী রাজ্যগুলিতে সরকার গঠনের সময় যাতে কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব না দেখা দেয়, এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল গেরুয়া শিবির। এই পর্যবেক্ষকদের অধীনে সহ-পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ায় সরকার গঠনের বিষয়টির উপর এরাই নজরদারি চালাবেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে সহ-পর্যবেক্ষক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এই রাজ্যের জন্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখিকে যথাক্রমে উত্তরাখণ্ডের পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে দলটি মণিপুরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে পর্যবেক্ষক এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে সহ-পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে গোয়ার পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানকে সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
এর আগে রবিবার, উত্তরপ্রদেশের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। হোলির পরে সেরাজ্যে সরকার গঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মণিপুর, গোয়াতেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এখনও। উত্তরাখণ্ডে তো বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি নিজে হেরেই গিয়েছেন। এই আবহে সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের তদারকিতেই এই সব রাজ্যে সরকার গছন করতে চাইছে বিজেপি। জয়ের পর অন্তর্দ্বন্দ্বের তেতো স্বাদ যাতে না পেতে হয়, তাই এদিকে বিশেষ নজর গেরুয়া শিবিরের।