ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ। অবশ্য দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই শাসকদল এবং বিরোধীরা নিজেদের ঘর গোছাতে ছক কষতে শুরু করে দেয়। দেশের প্রথম নাগরিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির অবস্থান শক্ত। তবে দেশের সব অ-বিজেপি বিরোধী দল একজোট হলে এখনও অঙ্কের নিরিখে গেরুয়া শিবিরকে হারানো সম্ভব। এর কারণ হল বিজেপির ঝুলিতে বর্তমানে ৪৮.৯ শতাংশ ভোট রয়েছে এবং বিরোধীদের ঝুলিতে ৫১.১ শতাংশ ভোট রয়েছে।
বিজেপি ও বিরোধীদের মোট ভোটের ব্যবধান বর্তমানে ২.২ শতাংশ। এই আবহে বিরোধীদের মধ্যে চিড় ধরাতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। মনে করা হচ্ছে যে বিজেপি ওড়িশার শাসকদল বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাহায্য নিতে পারে। এছাড়া কেসিআরের দল টিআরএসের কাছেও সমর্থন চাইতে পারে বিজেপি। তবে কেসি রামা রাও যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রচার শুরু করেছেন তাতে তাঁর দল এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করবেন বলে মনে হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে থাকলেও দুই শতাংশ ভোটের গণিত মাথাব্যথার কারণ হতে পারে বিজেপির।
এর আগে ২০১৭ সালে রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির সরকার ছিল। কিন্তু এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে, এই রাজ্যগুলিতেও পালাবদল হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং কর্ণাটকেও বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিল। যদিও পরবর্তীতে অন্য দল ভাঙিয়ে আপাতত এই দুই রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবিরই। এমতাবস্থায়, এখন বিজেপিকে সমর্থন জোগাড় করতে বেশ কসরত করতে হবে। তবে এই অঙ্ক বিরোধীদের পক্ষেও কঠিন হয়ে পড়তে পারে। যদি বিরোধীরা একজোট না হতে পারে, তবে বিজেপি এবারও বাজিমাত করতে পারে।