মণিপুর ইস্যু নিয়ে ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার রাহুলের সেই বার্তা নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতা যখন টুইট করেন তখন মানুষ হেসে ফেলেন। কার্যত রসিকতা করে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী না থাকলে সংসদ কেমন যেন ফাঁকা ফাঁপা লাগে। আর রাহুল গান্ধী টুইট না করলে মানুষ হাসার কোনও উপাদানই পান না। রসিকতা বিজেপি নেতার। প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধীকে এর আগেই সাংসদ পদ থেকে খারিজ করা হয়েছিল। একটি মানহানি মামলার জেরে তাঁকে সংসদ থেকে অপসারিত করা হয়।
এদিকে এর আগে মণিপুর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছিলেন, মোদী কেবলমাত্র কয়েকজনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি মণিপুরের মহিলাদের যন্ত্রণার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না। ভিডিয়ো বার্তা ছিল রাহুলের। তিনি জানিয়েছিলেন, আপনি অবাক হয়ে যাবেন কেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যাচ্ছেন না? কারণ নরেন্দ্র মোদী কেবল আরএসএসের বাছাই কয়েকজনের প্রধানমন্ত্রী। আর মণিপুর নিয়ে তাঁর করার কিছু নেই। কারণ তিনি জানেন তাঁর আদর্শের জেরেই জ্বলছে মণিপুর।
তিনি জানিয়েছিলেন বিজেপি শুধু ক্ষমতা চায়। আর কিচ্ছু চায় না। এদিকে রাহুলের এই বার্তার পরেই বেজায় চটেছেন বিজেপির একাংশ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে জানিয়েছেন, একজন শিশু আর রাহুল গান্ধীর মধ্য়ে কোনও ফারাক নেই। যবে থেকে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে তবে থেকে তিনি আর সংসদে আসেন না। আর সেজন্য কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তিনি টুইট না করলে মানুষের হাসার মতো উপাদান খুঁজে পান না। আর তিনি টুইট করলে মানুষ বেশ মজা পান।
তবে মণিপুর হিংসা নিয়ে অবশ্য অন্য কারণ বলছেন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে। তাঁর মতে আর্মস ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার্স অ্য়াক্ট এর জন্য় দায়ী। ১৯৫০ সালে জওহরলাল নেহেরু সরকার যখন ক্ষমতায় তখন এই আইন জারি করা হয়েছিল। অনাস্থার প্রস্তাব নিয়ে যখন আলোচনা হবে তখন প্রধানমন্ত্রী মণিপুর প্রসঙ্গে সব কথা একেবারে খুলে বলবেন।