চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপির দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ রমেশ বিধুরী। তাঁর বক্তব্যের মাঝেই বিএসপি সংসাদ দানিশ আলি কিছু বলতে থাকেন। শুনেই মেজাজ হারালেন বিজেপি সাংসদ। হারিয়ে ফেললেন তালজ্ঞানও। আঙুল তুলে বলতে শুরু করলেন, 'ইয়ে উগরাওয়াদি (জঙ্গি), ইয়ে আতঙ্কওয়াদি হ্যায় (সন্ত্রাসী), উগরাওয়াদি হ্যায়, ইয়ে আতঙ্কওয়াদি হ্যায়,।' এখানেই শেষ নয় তিনি আলিকে, 'মোল্লা আতঙ্কওয়াদি, কাটোয়া' বলেতেও দ্বিধা করেননি। যখন তিনি এই সব কুকথা বলছেন, সেই সময় সরাসরি চলছে সংসদের টিভির সম্প্রচার। দেশ দেখছে তাঁর এই 'ঘৃণা ভাষণ'।
বিধুরীর বক্তব্যের সময় স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন কংগ্রেস নেতা কোডিকুনাল সুরেশ। তিনি সবাইকে বসতে বলছেন। বিধুরীকে থামতে বলছেন। থামছেন না বিধুরী। চিৎকার করে বলেই চেলেছেন, 'বাহার ফেকো ইস মোল্লাকো'। পরে সুরেশ সংসদের কার্যবিধি থেকে এই ভাষণ বাদ দিতে নির্দেশ দেন।
বিজেপি সাংসদের এই ধরনের মন্তব্যের জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং লোকসভার উপনেতা রাজনাথ সিং দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'সংসদ সদস্যের মন্তব্যে বিরোধীরা আহত হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।' কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, দুঃখপ্রকাশেই শেষ? দলগত ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিধুরীর বিরুদ্ধে।
রমেশ বিধুরীর বক্তব্যের ভিডিয়োটি এক্সে পোস্ট করেছেন মহুয়া মৈত্র। প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতিকে ট্যাগ করে তাঁর প্রশ্ন, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি?
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই লোকসভায় পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। বৃহস্পতিবার তা পাশ হয় রাজ্যসভায়। রাত অবধি মিষ্টিমুখ হয়েছে এই বিল পাশের আনন্দে। ঠিক সেই রাজনাথ সিং ক্ষমা চাইতে হল রমেশ বিধুরীর ঘৃণা ভাষণের জন্য।