রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রোড রোডে ধর্নায় বসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে বুধবার দিল্লিতে ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মমতার আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগের জবাব দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? জানতে চান রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি ক্যাগের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের টাকা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, দুর্নীতি এটা নতুন একটা পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে কেউ জানে না।
এদিন সুকান্ত বলেন, কোন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজ্য সরকারকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয়। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা কোন খাতে কত খরচ হয়েছে। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি।
পড়ুন। ‘বাংলায় ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে হলে সুবিধা হতো বিজেপির,’ কেন বললেন ইয়েচুরি?
সুকান্ত মজুমদারের আরও দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে খরচ করা হয়েছে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন এবং শিক্ষাদপ্তরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে এদিন তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও তোলে।
পডুন। ‘বাবাকে মনে পড়ছে,’ লিখলেন রাহুল, স্কুল ছাত্রীকে প্রশ্ন, কী হতে চাও? এল মন ছুঁয়ে যাওয়া জবাব
টিভি নাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার সকালে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি জানাতে যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন প্রধানমন্ত্রী সুদীপকে বলেন, ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখতে। তার ঠিক দু’ঘণ্টা পর ক্যাগের সামনে আনলেন সুকান্ত মজুমদার। যা কিনা ধর্নায় বসার আগে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলবে তৃণমূলকে।
প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতির অভিযোগে টাকা আটকে রাখার ফলে বিপাকে কেন পড়বেন অর্থের প্রকৃত প্রাপকরা? তাদের টাকা কেন আটকে রাখা হবে? অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজের টাকা সুদ-সহ দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন সারা দেশের ১০০ আইনজীবী।