ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় বেরিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একের পর এক রাজ্যে যাচ্ছেন তিনি। কখনও কৃষকদের সঙ্গে, কখনও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। এবার বিহারের পূর্ণিয়াতে গিয়ে আবেগে ভেসে গেলেন রাহুল গান্ধী।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, কাল পূর্ণিয়াতে নবোদয় বিদ্য়ালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বাবার কথা মনে পড়ে গেল। রাহুল লিখেছেন, নবোদয় বিদ্যালয়ে ১৯৮৬ সালে শুধু একেবারে নামমাত্র বেতনে অত্যন্ত উন্নত মানের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হত সেটাই নয়, এক লাখে কম আয় এমন পরিবারের সন্তানদের সহায়তা করা হত। নবোদয় বিদ্যালয়ে গরীব ও বঞ্চিত পরিবারের বাচ্চাদের আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকত। ছোট ছোট গ্রাম থেকে যাওয়া বাচ্চাদের চোখে থাকত অনেক স্বপ্ন। আধুনিক শিক্ষা হল ন্যায়ের লড়াইতে সবথেকে বড় শক্তি।
জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ক্লাসরুমে যান। সেখানে ছাত্রীদের বক্তব্য মন ছুঁয়ে গেল রাহুলের।
রাহুল গান্ধী একেবারে ক্লাস নিলেন স্কুলে গিয়ে। পড়াশোনা কেমন চলছে? প্রশ্ন করলেন রাহুল গান্ধী। উত্তর এল, ভালো চলছে স্যার।
বড় হয়ে কী হতে চাও! আইএএস কে কে হতে চাও? চার-পাঁচটা হাত ওঠে ওপর দিকে। বাকিরা কী হতে চাও? অনেকেই বলে, চিকিৎসক হতে চায়। রাহুল প্রশ্ন করেন, আইনজীবী কে কে হবে? রাহুল প্রশ্ন করেন, মেয়েদের কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে দেখা হয়? তোমাদের কি রাতে একলা বের হতে ভয় লাগে? কেন গোটা দেশ জুড়ে এটা হয়? শুধু বিহারে নয়, গোটা দেশে? প্রশ্ন করেন রাহুল গান্ধী।
এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করেন রাহুল। তুমি তো বেশ সাহসী। কী হতে চাও? ওই ছাত্রী উত্তর দেয়, রাজনীতিবিদ হতে চাই। পলিটিসিয়ান।কেন রাজনীতিবিদ হতে চাও? ছাত্রী বলে, আসলে অনেক কিছুতে বদলাতে হবে। ছাত্রীর জবাব শুনে খুশি রাহুল। বলেন, প্রথমে কী কাজ করতে চাও?
একটুও না ভেবে ছাত্রীটি বলেন, রাস্তা চওড়া করার জন্য় বাড়ির সামনে দেখেছি অনেকের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের তো ঘর দরকার। তাদের ঘর ভেঙে দিয়ে কি উন্নয়ন সম্ভব? জবাব শুনে আবেগে ভাসলেন রাহুল।