বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে দিল্লিগামী বিমানে বোমা রয়েছে বলে একটি হুমকি ফোন করা হয়েছিল। গত ২৪ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগেই এই হুমকি ফোন করায় তৎপর হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। পুলিশ একটি বিপিও সংস্থার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম জয়কৃষ্ণ কুমার মেহতা। জানা গিয়েছে, ধৃত বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি করায় বিমানে বোমা আছে বলে হুমকি দিয়েছিল। এই উড়ানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: 'বিমানে বোমা আছে'- প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই দিল্লিতে হুমকি ফোন, ছিলেন ২০০ যাত্রী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয় কৃষ্ণ বিহারের সকালের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের শিল্প বিহার থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, তিনি সেখানে এয়ারলাইন্সের কল সেন্টারে ফোন করেছিলেন। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ একটি পৃথক মামলা নথিভুক্ত করেছিল। কারণ আইজিআই বিমানবন্দরটি তাদের এখতিয়ারের অধীনে পড়ে। গ্রেফতারের পর ধৃত যুবককে গুরুগ্রাম পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৫০৬ ধারা (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ৫০৭ ধারার অধীনে অপরাধের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, স্পাইসজেটের গুরুগ্রাম ভিত্তিক কল সেন্টারে করা হয়েছিল। তিনি নিজেকে কিশোর বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২৪ জানুয়ারি। ফোন করে তিনি বলেছিলেন দারভাঙ্গা থেকে দিল্লি যাওয়ার স্পাইসজেটের নম্বর এসজি ৮৪৯৬ উড়ানে বোমা সম্পর্কে কথা বলতে শুনেছেন। এরপর দিল্লি বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কারণ ততক্ষণে বিমানটি দারভাঙ্গা থেকে উড়ান শুরু করেছিল। দিল্লিতে অবতরণের পর সমস্ত যাত্রীদের নামিয়ে বিমানে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কোথাও কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। তখন আধিকারিকরা বুঝতে পারেন আসলে এটি ভুয়ো কল ছিল।
প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জয়কৃষ্ণকে উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জয় কৃষ্ণ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিহারের মগধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। বর্তমানে একটি বিপিও কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। দারভাঙ্গা বিমানবন্দরের কাউন্টারে তিনি পৌঁছতে দেরি করেছিলেন। সেই কারণে ফ্লাইট দেরি করে ছাড়ার জন্য ফোন বোমা থাকার কথা জানিয়েছিলেন।