১৯৯৫ ব্যাচের আইএএস। মহারাষ্ট্র ক্যাডারের আইএএস তিনি। তিনি অশ্বিনী ভিড়ে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে চড়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের টিকিট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আসন দেওয়া হয়নি। বেশি বুকিং হয়ে গিয়েছে এই অজুহাত তুলে তাঁকে ওখানে আসন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এরপরই বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, আপনারা কি প্রতারণা করছেন নাকি বৈষম্যমূলক, বর্ণবিদ্বেষী পলিসি রেখেছেন? চেক ইন কাউন্টার থেকে কীভাবে একজন প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীকে ওভারবুকিংয়ের কথা বলে সিট দিলেন না। সেনিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ভুলে গেলেন? আমি বলছি এটা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের রোজকার কাজ। তিনি এই পোস্টের সঙ্গে মুম্বই এয়ারপোর্ট, ডিজিসিএ, মন্ত্রী জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ট্যাগ করেছেন।
তবে এই পোস্টের জবাব দিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তারা জানিয়েছে, যেটা হয়েছে সেটার জন্য আমরা দুঃখিত। যে অসুবিধা হয়েছে সেটার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। এদিকে এই ঘটনার জেরে অনেকেই বিমান সংস্থার সমালোচনায় মুখর।
একজন লিখেছেন, বিজনেস ক্লাস থেকে প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে আমাকে নামানো হয়েছিল। আমি সেবার মুম্বই থেকে লন্ডনে যাচ্ছিলাম।
অপর একজন লিখেছেন, আমি একবার ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে চেপেছিলাম। ওরা বর্ণবিদ্বেষী। ওদের স্টাফরা আমাদের প্রতি একদম শ্রদ্ধা দেখায় না। ওরা আমাদের প্রতি যত্ন করে না। আমি আর কোনওদিন ওদের বিমানে চড়ব না। আমাদের ভারতীয়দের উচিত এয়ার ইন্ডিয়া ও ভিস্তারার বিমানে চড়া। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই দুটি বিমানে চড়া দরকার।
অপর একজন লিখেছেন, এটা একটা সাধারণ প্র্য়াকটিশ। এটা এয়ার ফ্রান্সের সঙ্গেও হয়। আপনাকে একটা ভ্য়ালিড টিকিট রাখতে হবে আর আপনাকে শ্বেতাঙ্গ হতে হবে।