লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই বাংলায় বড়সড় রদবদলের ঘোষণ করে নির্বাচন কমিশন। ছয় রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বদল করা হয় বাংলার ডিজিপিকে। রাজীব কুমারকে সরিয়ে সেই পদে আনা হয়েছে বিবেক সহায়কে। সেই বিবেকের দাদা বিকাশ বর্তমানে গুজরাটের ডিজিপি। এমন কাকতালীয় ঘটনা ভারতে ততটা দেখা যায় না। এদিকে বিবেকরা তিন ভাই। দুই ভাই বর্তমানে যেমন ডিজিপি আছেন, অপর ভাইও উচ্চপদস্থ আমলা। তিন ভাইয়ের সবচেয়ে ছোট হলেন বিক্রম সহায়। তিনি আপাতত ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের আধিকারিক। দিল্লিতে তাঁর পোস্টিং। (আরও পড়ুন: 'দেড় কোটি নয়, ৩-৬ লাখ আবেদন করবেন CAA-তে', দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযোগ NRC নিয়ে)
আরও পড়ুন: ২১-এ মিলিয়েছিলেন অঙ্ক, সেই PK ২৪-এর ভোটে 'পদ্মের চমক' দেখছেন বাংলায়
বিবেক সহায় নিজে ১৯৮৮ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। এর আগে হোমগার্ডের কমান্ডান্ট জেনারেল পদে থেকেছেন বিবেক। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বরে সেই পদে আসীন হয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাদা বিকাশ সহায় ১৯৮৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। ভাই বিবেক বাংলার ডিজিপি হওয়ার পরে বিকাশ বলেন, 'আমরা তিন ভাই একই সঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে দু'জন পুলিশ সার্ভিসে যোগ দিই। আর একজন রেভিনিউ সার্ভিসে যোগ দেন। আমরা শেষবারের মতো একবছর আগে দেখা করেছিলাম।' বিকাশ জানান, বিবেকের সঙ্গে দেখা হলে পুলিশ প্রশাসন নিয়েই বেশি কথা হয়। (আরও পড়ুন: 'বাংলায় বিজেপিকে ফিরতে দিয়েছে তৃণমূলই', মমতার দলকে নিয়ে বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর)
আরও পড়ুন: ভারতে ঘটে যাওয়া ঘুষকাণ্ডে মার্কিন তদন্তের মুখে গৌতম? মুখ খুলল আদানি গোষ্ঠী
এর আগে গতকালই রাজীব কুমারকে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগেই এই পদে বহাল হয়েছিলেন রাজীব। রাজীবকে সরানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী ডিজিপি পদে বিবেক সহায়ের নাম ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওদিকে রাজীব কুমারকে তথ্য প্রযুক্তি দফতরে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, পরবর্তী ডিজিপি হিসেবে বিবেকের নামের প্রস্তাব কমিশনকে পাঠানো হয়েছিল নবান্নের তরফ থেকেই। এদিকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে রাজ্য়ের ডিজিপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কিশন। এর আগে মনোজ মালব্যের অবসরের পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি পদে বসানো হয়েছিল রাজীবকে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি বদলের পাশাপাশি গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্র সচিবদের অপসারণ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিকে বৃহৎ মুম্বই পৌর কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এবং অতিরিক্ত কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনারদেরও অপসারণ করা হয়। এছাড়া মিজোরাম ও হিমাচল প্রদেশের সাধারণ প্রশাসনিক বিভাগের সচিবদেরও অপসারণ করা হয় গতকাল।