কেন্দ্রীয় বাজেটে এবার নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দের হার দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ হিসেবে ধরা হয়েছে মাত্র ৩.৩৭ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মোটে ৬% বেশি।
প্রতিরক্ষা দফতরের পেনশন তহবিল বাবদ বরাদ্দের অংশ বাদ দিলে এ বছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আধুনিকীকরণের জন্য মাত্র ১.১৩ লাখ কোটি টাকা। শঙ্কিত বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আধুনিকীকরণ খাতে অর্থাভাব দেখা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেনাবাহিনীর প্রকল্পগুলি।
সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজ-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল এয়ার ভাইস মার্শাল মনমোহন বাহাদুর (অবসরপ্রাপ্ত) জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, আধুনিকীকরণ খাতে বরাদ্দ তহবিল যথেষ্ট নয়। অনেক গর্ত ভরাট করতে হবে।’
২০২১ সালের অর্থবর্ষের জন্য বাজেট বরাদ্দ নির্ধারণের সময় প্রতিরক্ষা খাতে গত অর্থবর্ষের তুলনায় মাত্র ২% বাড়ানো হয়েছে। এমন কী, বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তাকে গুরুত্বের বিচারে সর্বাগ্রে রাখা ছাড়া প্রতিরক্ষা সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিবিধ আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির আশা করেছিল সেনাবাহিনী। বর্তমানে সীমান্ত পাহারা, সন্ত্রাস দমন-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কাজের ব্যাপ্তি বেড়ে যাওয়ায় সেনা প্রযুক্তিতে নিয়মিত উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
এ হেন পরিস্থিতিতে কামান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন-সহ একাধিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর নয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বর্তমান বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে যত্কিঞ্চিত্ অর্থ বরাদ্দ হওয়ার অর্থ, এবার খরচ করার আগে অনেক কিছু ভেবে দেখতে হবে বাহিনীকে। তার উপরে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ অর্থের মধ্যে যদি পেনশন ধরা হয়, তা হলে পরিস্থিতি আরওই জটিল হয়ে ওঠে।