নবরাত্রিতে আংশিকভাবে প্রতিমা ভাঙার অভিযোগে হায়দরাবাদে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হল। মাদার মেরির মূর্তিও ভাঙার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দু'জনেই স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হায়দরাবাদের খৈয়রাতাবাতে সেই ঘটনা ঘটেছে। ডিসিপি (সেন্ট্রাল জোন) এমআর চন্দ্র বলেছেন, ‘মা, বাবা এবং দুই মেয়ে একসঙ্গে থাকে। ওরা অসুস্থ। ২০১৮ সালে জেড্ডা থেকে ফেরার পর থেকেই ওদের এরকম সমস্যা হচ্ছে। ওদের এক ভাইও আছে। সে এখানেই থাকে।’
একাধিক রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, ওই দুই মহিলা খৈয়রাতাবাতের একটি মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে। এক মহিলা সাঁড়াশি দিয়ে দেবী দুর্গাক প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরবর্তীতে ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Durga Puja: এখানে দুর্গাপুজোর কাজ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ, কোথায়
বিষয়টি নিয়ে নামাপল্লির বিধায়ক জেএইচ মিরাজ বলেছেন, 'বোরখা পরিহিত দুই মহিলা সাঁড়াশি দিয়ে দেবীর প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করেছিল। ভক্তরা তাদের আটকে দেয়। তারপর ওরা চার্চে গিয়ে একইভাবে মূর্তি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। সেখানে আটকানো হলে ওরা হনুমান মন্দিরে যায়। পরবর্তীতে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের জন্য পুলিশ কমিশনারকে আর্জি জানাচ্ছি।’
সেই ঘটনার জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন দুই মহিলার ভাই। তিনি বলেন, ‘এখনও ওদের (দুই মহিলা) সঙ্গে দেখা হয়নি আমরা। তবে কী হয়েছে, সেটা জানতে পেরে আমি এখানে চলে এসেছিল। আমার মা ও বোনেরা স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। প্যারানয়েড স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত আমার ভাই। ওরা কখনও এরকম করেনি। আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ওদের নিয়মিত চিকিৎসা হয়।’
হায়দরাবাদের ডিসিপি (সেন্ট্রাল জোন) বলেছেন, দুই মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হবে। যেহেতু দুই মহিলার ভাই বলেছে যে ওদের স্কিৎজোফ্রেনিয়া আছে, তাই সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারপর দুই মহিলাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হবে।