ভারতের বহুজাতিক কোম্পানি বাইজুসে ভালো যাচ্ছে না সময়টা। ঋণের ধাক্কায় বেসামাল ভারতের অন্যতম সফল স্টার্ট আপ বাইজুস। ২০১১ সালে বাইজুস রবীন্দ্রন এবং দিব্যা গোকুলনাথ বাইজুস কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক বিষয়ে অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। বাইজুসের সদর দফতর ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। বর্তমানে এই এডটেক কোম্পানিটি ব্যাপক সংকটের সম্মুখীন। এই সমস্যার সমাধানের জন্য বাইজুস এডটেক কোম্পানি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বাইজুসের ঋণদাতাদের স্টিয়ারিং কমিটি একটি মেয়াদি ঋণ সংশোধনী স্বাক্ষর করে কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। তারইমধ্যে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিলে ইডির অভিযানের পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকেই কেঁদে ফেলেছিলেন রবীন্দ্রন।
বাইজুসের ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ৮৫ শতাংশ ঋণ প্রদান করেছে অ্যাডহক মেয়াদি ঋণদাতাদের স্টিয়ারিং কমিটি। এই অ্যাডহক মেয়াদি ঋণদাতাদের স্টিয়ারিং কমিটি সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা ৩ অগস্টের মধ্যে মেয়াদি ঋণ সংশোধনী স্বাক্ষর করবে এবং কোম্পানির সঙ্গে থাকবে।
বাইজুস হল ভারতের দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপ। ৮০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীর বাইজুসের সঙ্গে যুক্ত, এদের মধ্যে ৫.৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী অর্থ প্রদানকারী। বাইজুস ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ৬.৭৮ শতাংশ হারে পাঁচ বছরের জন্য ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল। পরবর্তী সময় ৫ জুন এই এডটেক কোম্পানিটি ৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ এড়িয়ে যায়। তখনই ঋণদাতারা এই এডটেক কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করে।
বাইজুস এডটেক কোম্পানি বাজারে তার অবস্থানকে পুনরুদ্ধার করার জন্য সম্প্রতি আপগ্র্যাডের প্রাক্তন প্রধান কর্মকর্তা অর্জুন মোহনকে বাইজুসের আন্তর্জাতিক ব্যবসার সিইও হিসেবে নিযুক্ত করেছে। বাইজুস সংস্থা একটি নতুন কমিটি গঠন করেছে, এই কমিটিতে রজনীশ কুমার এবং টি ভি মোহনদাস পাই যোগ দিয়েছে।