ডিসেম্বরে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুনে সেই অর্থ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু একটি ক্ষেত্রে এরকম হয়েছে, সেটা মোটেও নয়। বরং গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রায় সব মাসেই বাইজুস দেরি করে কর্মচারীদের পিএফের টাকা জমা দিচ্ছে। এমনই জানানো হয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ের তিন-চার মাস পরে পিএফের অর্থ জমা দিচ্ছে এডটেক স্টার্ট-আপ। সেই পরিস্থিতিতে ওই স্টার্ট-আপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। যদিও বিষয়টি নিয়ে বাইজুসের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Form 16 ছাড়াই আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারেন, জানেন প্রক্রিয়াটি
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইপিএফওয়ের থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, তিন-মাস দেরি করে কর্মচারীদের পিএফের টাকা দিচ্ছে বাইজুস। এমনকী কয়েকজন কর্মচারীর ডিসেম্বরের পিএফ তো জুনে জমা পড়েছে। শুধু তাই নয়; মাত্র ১০,০০০-১৩,০০০ জন কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের পিএফের টাকা জমা দিয়েছে। এপ্রিল থেকে জুনের পিএফের টাকা পাননি অধিকাংশ কর্মচারী। অথচ প্রতি মাসের পে-স্লিপে ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড’-র জায়গায় ইপিএফের অঙ্ক লেখা আছে।
এমনিতে ইপিএফওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, সব সংস্থাকে প্রতি মাসের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কর্মীদের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হয়। সেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি ইপিএফ প্রদান করা না হয় এবং ইপিএফের টাকা জমা দিতে দেরি করা হয়, তাহলে ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে ওই সংস্থাকে। যা ওই অঙ্কের পাঁচ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ হতে পারে। যদি কোনও সংস্থা ইপিএফের টাকা দিতে দেরি করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ইপিএফওয়ের কাছে অভিযোগ দায়েরও করতে পারেন কোনও কর্মী। কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধেও যেমন তদন্ত চালিয়েছে ইপিএফও।
তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আপাতত ইপিএফওয়ের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইজুসের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন যে কোনও কর্মচারীর ইপিএফের টাকা বকেয়া নেই। সকলের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে বাইজুস। যে স্টার্ট-আপ সম্প্রতি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। বাইজুসের অডিটর হিসেবে সরে গিয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফার্ম ডেলয়েট। তার আগে বাইজুসের অফিসে অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।