গুরুতর এক অভিযোগ উঠতেই বিতর্কে জড়াল অ্যাপল। মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল অনুমতি ছাড়াই আইফোন ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ বা ‘অ্যাক্টিভিটি’ রেকর্ড করছে অ্যাপল। এই আবহে অ্যাপলকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়া হল। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, এলিয়ট লিবম্যান নামক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘অ্যাপলের দাবি সত্ত্বেও আইফোন ব্যবহারকারীদের ডেটা ভাগ করার বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা ক্যালিফোর্নিয়ার গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করে।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, মামলাকারীর বক্তব্য, ‘আইফোন সহ অ্যাপলের প্রতিটি ডিভাইসে এমন সেটিং রয়েছে যা থেকে যাবতীয় অ্যাপ সংক্রান্ত তথ্য গোপন থাকে। ব্যবহারকারী সেই নির্দিষ্ট সেটিং বেছে নেওয়া সত্ত্বেও অ্যাপল ব্যবহারকারীদের তথ্য বিক্রি করে টারা উপার্জন করে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, ফোন বন্ধ থাকলেও আইফোন গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে অ্যাপল অ্যানালিটিকস। এর আগে অ্যাপল-এর আইফোনে পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যারের হামলার অভিযোগও উঠেছিল।
অ্যাপল শুরু থেকেই গ্রাহকদের গোপনীয়তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি করে এসেছে। তারা গ্রাহকদের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিতে বিজ্ঞাপনও চালিয়েছিল। অ্যাপলের বার্তা ছিল – ‘প্রাইভেসি, দ্যাটস অ্যাপল’; অর্থাৎ, গোপনীয়তা রক্ষা মানেই অ্যাপল। যদিও এই সব দাবি সত্ত্বেও বারবার অ্যাপলের প্রযুক্তগত ত্রুটি এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে এসেছে। অ্যাপলের আইওএস ১৪.৬-এর বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর ‘তথ্য চুরি’র অভিযোগ এনেছেন টমি মিক এবং তালাল হজ বাকরি নামক দুই অ্যাপ ডেভেলপার এবং গবেষক। এই বিষয়ে টমি টুইট করে লেখেন, ‘iOS 14.6-এর অ্যাপ স্টোরে কোনও ক্লিক করলেই সেই সংক্রান্ত তথ্য অ্যাপলের কাছে চলে যায়। তা সে অ্যাপল অ্যানালিটিকস সেটিং বন্ধ থাকলেও তথ্য অ্যাপলের কাছে যায়।’ তবে অ্যাপলের আইওএস ১৬-এও গোপনীয়তা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে কিছু বলেননি টমি।