শাক–সবজি, মাছ–মাংস এবং বাজারের যাবতীয় দোকান ও মুদিখানার মালিক, কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র। আইসিএমআরের নির্দেশাবলি উল্লেখ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দোকান, বাজার থেকে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক সম্ভাবনা রয়েছে। বাস্তবে এর উদাহরণও রয়েছে। করোনা প্রতিরোধে তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
লকডাউন হবে শুনেই আগের দিন বাজারে ভিড়। লকডাউনের দিন পার করলেই সকাল সকাল থলি হাতে বাজারে পৌঁছে যাচ্ছেন সকলে। ভিড় বাড়ে মুদিখানাগুলিতেও। অন্যান্য দিনেও বাজারে তো যেতে হবেই। আর বাজার–দোকান থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর একাধিক উদাহরণ রয়েছে ভারতে। তামিলনাড়ুতে ৩৫ শতাংশ করোনা সংক্রমণ বাড়ার পেছনে হাত রয়েছে চেন্নাইয়ের কোয়ামবেড়ু বাজারের। তাই মারণ ভাইরাসকে গোড়া থেকে নির্মূল করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণের রয়েছে একাধিক পরামর্শ। অক্সিজেন সরবরাহ, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা আরও সহজলভ্য করার কথা বলেছেন তিনি। অ্যাম্বুল্যান্স প্রত্যাখ্যান হার শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ রয়েছে চিঠিতে। তিনি বলেছেন, শিল্পাঞ্চল–সহ অন্য কন্টেনমেন্ট জোন থেকে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব কমাতে হবে। মৃত্যুহার ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবেই।
বয়স্কদের পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের দিকে বিশেষ নজর রাখার পরমার্শ দিয়েছেন তিনি। কড়া নজর রাখতে হবে বস্তি, সংশোধনাগার ও বৃদ্ধাশ্রমের মতো ঘনবসতি জায়গায়। হাসপাতাল থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারার অভিযোগ তুলেছেন বহু করোনা রোগী। ভবিষ্যতে সে ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।