সামনেই লোকসভা ভোট। একদিকে এনডিএ। আর অপরদিকে ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যদি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় তবে তা সাধারণ মানুষের মধ্য়ে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সেকারণেই এবার এনিয়ে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে সরকার। সেই নিরিখে এবার ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ডাল প্রতিটি ঘরের রোজকার রান্নায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সেই ডালের দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে প্রভাব ফেলবে হেঁসেলে। প্রভাব ফেলবে সাধারণ গরিব মধ্য়বিত্ত মানুষের মনে। সেকারণে একেবারে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে সরকার।
এবার ডালের দামগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক। গরমকালে বিউলির ডাল খান অনেকেই। দেশে সবথেকে বেশি দামে বিউলির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকা কেজি দরে। আর সবথেকে সস্তার বিউলির ডাল যদি ধরা হয় তবে সেটা হচ্ছে ৬৮ টাকা প্রতি কেজি দরে।
মুসুর ডালের দামও কম কিছু নয়। প্রতি কেজি মুসুর ডালের সর্বোচ্চ দাম ১৫৭ টাকা। আর সবথেকে কম দামে মুসুর ডাল যদি ধরা হয় তবে তার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭০ টাকা।
এবার মুগডালের কথা ধরা যাক। মুগডালের দাম সর্বনিম্ন ৮৯ টাকা প্রতি কেজি। আর মুসুর ডালের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়াচ্ছে ১৬৬ টাকা। তবে ডালের দাম যদি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তবে সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের মন জয় করাটা অনেকটাই সহজ হবে। সেই নিরিখে এবার ডালের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য় বাফার স্টকটা ঠিকঠাক রাখতে চাইছে সরকার। মানে সরকারের কাছে ডালের মজুত যদি ঠিক থাকে, কালোবাজারি যদি না হয় তবে সাধারণভাবে ডালের দাম আর বাড়বে না।
এনিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে কৃষকদের কাছ থেকে ৬ লাখ টন ডাল কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কাঁচা অড়হর ডাল কেনা হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ টন। আর মুসুর ডাল কেনা হবে প্রায় ২ লাখ টন।
এদিকে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্তকে কার্যকরী করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবে মধ্য়বিত্ত আমজনতার কাছে এটা স্বস্তিদায়ক যে ডালের দাম যাতে আর না বাড়ে সেকারণে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এটাই স্বস্তির।