বড় হাসপাতাল গোষ্ঠীগুলি বেশিরভাগ টিকা কিনে নিচ্ছে। ছোটো বেসরকারি হাসপাতালগুলির ভাগ্যে তেমন কিছু জুটছিল না। দেশজুড়ে এমনই অভিযোগের মধ্যে সংশোধিত টিকানীতিতে কিছুটা সাম্য আনার চেষ্টা করল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সংশোধিত টিকানীতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিষেধকের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নয়া টিকার জন্য উৎসাহ জোগাতে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে টিকা বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মোট মাসিক উৎপাদনের ২৫ শতাংশ টিকা বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বিক্রি করতে পারবে প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
সেই বণ্টন-নীতি অবশ্য আগে থেকেই ছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছোটো বেসরকারি হাসপাতালগুলির অভিযোগ করা হচ্ছিল, বিভিন্ন বড় গোষ্ঠীর হাসপাতালগুলিই বেশিরভাগ টিকা কিনে নিচ্ছে। তার ফলে কোনও ছোটো হাসপাতাল ২০,০০০ ডোজ পাচ্ছে, কারও ভাগ্যে জুটছে ৩০,০০০ ডোজ। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দ্বিতীয় সারির শহর এবং শহরের বাইরের এলাকার হাসপাতালগুলিকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল দাবি করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, আঞ্চলিক চাহিদার ভিত্তিতে বড় ও ছোটো বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে সাম্য বজায় রাখতে সামগ্রিকভাবে টিকা বণ্টনের বিষয়টি দেখভাল করবে রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি।
অন্যদিকে, সোমবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, টিকা কিনে গ্রহীতাদের প্রদান করার সময় পরিষেবা কর (সার্ভিস চার্জ) বাবদ ডোজপিছু সর্বাধিক ১৫০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অর্থাৎ এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতাগুলিতে টিকার ডোজের মধ্যে খরচের বেশি ফারাক হবে না। একটি নির্দিষ্ট স্তরে দাম বাঁধা থাকবে। কিন্তু সেই নির্দেশে অখুশি ছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশ। ফর্টিস হেলফকেয়ারের তরফে জানানো হয়, করোনাভাইরাস টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে পরিষেবা কর (সার্ভিস চার্জ) বাবদ যে ১৫০ টাকার সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র, তাতে হাসপাতালের যে বাড়তি খরচ হয়, তা উঠবে না। তাই অন্যত্র গিয়ে টিকাকরণের ক্ষেত্রে সেই সার্ভিস চার্জের সীমা বাড়ানোর আর্জি জানায় ফর্টিস। যদিও সেই নীতিতে পরিবর্তন করেনি কেন্দ্র।