রাষ্ট্রসংধের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গুজরাটের কসাই’ বলে আক্রমণ করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি। এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানালেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল। বাঘেল এর প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমি বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। এর যোগ্য জবাব দেওয়া উচিত ভারতের।’ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আমার নীতিগত বিরোধ থাকতে পারে কবে তিনি মোদী আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের তীব্র শ্লেষের মুখে পড়তে হয়েছিল পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোকে। এর প্রেক্ষিতেই নরেন্দ্র মোদীকে ‘গুজরাটের কসাই’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। এরপরই এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই মন্তব্যের কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, ‘সীমা লঙ্ঘন করে নিম্নরুচির আক্রমণ করেছে পাকিস্তান। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে (১৬ ডিসেম্বর) কী হয়েছিল, সেই কথা সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল পাক সেনা। তারপর এতদিন কেটে গেলেও সংখ্যালঘুদের প্রতি পাকিস্তানের মনোভাবে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। কোনও ভাবেই ভারতের দিকে আঙুল তুলতে পারে না পাকিস্তান। পাকিস্তানকে মানায় না এই কাজ।’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানের মতো দেশ এতটা নীচে এর আগে কখনও নামেনি। সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর উচিৎ, নিজের দেশের সন্ত্রাসী মাস্টারমাইন্ডদের ওপর তাঁর এই হতাশা উগড়ে দেওয়া। তারা সন্ত্রাসবাদকে তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ করে তুলেছে।’
এদিকে শনিবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন বিজেপর কর্মী-সমর্থকরা। দিল্লিতে অবস্থিত পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মীরা। বিলাওয়াল ভুট্টোর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয় পাক দূতাবাসের সামনে। বিজেপির তরফে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে করা এই আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে গোটা দেশ এক হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।’ এদিকে শুধু দিল্লি নয়, মোদীকে নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রীর করা মন্তব্যে প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ হয় গুজরাটের বিভিন্ন শহরে। জানা যায়, রাজকোট, বরোদা, গান্ধীনগর, জুনগড় এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। ভুট্টো-বিরোধী স্লোগান ওঠে বহু জায়গায়।