সুতীর্থ পত্রনবীশ
মহাকাশে তিন মহাকাশচারীকে থাকতে হবে ছয় মাস। তৈরি হচ্ছে ‘লো আর্থ অরবিটিং’ -এর তিয়াংগং স্পেস স্টেশন। আর সেই লক্ষ্যেই এদিন আর সেই লক্ষ্যেই এদিন মহাকাশচারীদের নিয়ে শেনজাউ-১৪ রওনা হয়েছে মহাকাশের উদ্দেশে। যতক্ষণ না স্পেশ স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হচ্ছে ,ওই তিন মহাকাশচারী থাকবেন সেখানেই।
রবিবার চিনের ‘ম্যানড স্পেস এজেন্সি’র তরফে এই সফল যাত্রার সংবাদ দেওয়া হয়। চিনের স্থানীয় সময় ১০.৪৪ মিনিটে মহাকাশচারীরা শেনজাউ স্পেসক্রাফ্টে রওনা হয়েছেন মহাকাশের উদ্দেশে। গোবি মরভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এদিন সফল উৎসক্ষেপণ হয় এই মানব সম্পন্ন মহাকাশযান শেনজাউ-১৪-এর। উৎক্ষেপণ হয় লং মার্চ টু এফ রকেটের হাত ধরে। স্টেশনটি ৩৪০ কিলোমিটার থেকে ৪৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবী কক্ষপথের খুব কাছে থাকবে। এর জীবনসীমা ১০ বছর। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এর জীবন সীমা খুব জোর ১৫ বছরও হতে পারে। কোভিড নিঃসাড়ে ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে শরীরের এই ৪ অংশে! জানুন লক্ষণগুলি
উল্লেখ্য, সফর শুরুর ৫৭৭ সেকেন্ড পরে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাকাশযানটি নিজের নির্দিষ্ট পথ ধরে চলতে থাকে। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, চিনের মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণা ও মহাকাশ যাত্রার উদ্যোগ ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। তবে ২০০৩ সাল ও ২০০৫ সালে আসে প্রথম অভূতপূর্ব সাফল্য। সেই সময় প্রথমবার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশ যান রওনা হয় চিনের তরফে। আর তা ছিল সফল। এরপর নতুন এই পদক্ষেপ চিনের মাহাকশ যাত্রাকে আলাদা সাফল্য দিয়েছে।