২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষের পর থেকেই ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের একাধিক সংস্থা, অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। চিনের সবথেকে বড় বাদার ভারত। এই আবহে বিগত দুই বছর ধরে চলতে থাকা এই টানাপোড়েনে মার খাচ্ছে চিনা ব্যবসা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে বদ্ধপরিকর বেজিং। আর এই কারণেই ভারতে দুই দিনের সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ওয়াং ই ২৪ এবং ২৫ মার্চ ভারতে থাকবেন।
ওয়াং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথেও তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে এর আগে দুই পড়শি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পূর্ব লাদাখে পিএলএ সংঘর্ষের পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মস্কো এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দুশানবেতে বৈঠক করেছিলেন। লাদাখ সংঘর্ষের পর এটা তাঁদের তৃতীয় বঠক হবে। তবে ভারতের মাটিতে এটাই প্রথম এই ধরনের বৈঠক।
অনেক বিশ্লেষকের মত, কোয়াডভুক্ত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে চিড় ধরাতে চাইছে চিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারত আমেরিকার ‘আবেদনে’ সাড়া না দেওয়ার পর চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফর বেশ তাত্পর্য়পূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে ভারত সফর শেষ করে ২৬-২৭ মার্চ তিনি নেপালে থাকতে পারেন। এরপর বাংলাদেশ ও ভুটানেও যেতে পারেন তিনি।