সম্প্রতি দুটি পৃথক মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ বেশ কয়েকজন সচিবের বিরুদ্ধে আটদিনের মধ্যে দু’বার অবমাননার রুল জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এদিকে কয়েকদিন আগেই দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর উচ্ছেদ বন্ধের সুপ্রিম নির্দেশিকা সত্ত্বেও অভিযান চলতে থাকে। এই সব ঘটনার প্রেক্ষাপটে আজকে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে মুখ্যমন্ত্রী ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানাও। সেখানেই প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, ‘সরকার যদি আদালতের নির্দেশ না মানে তাহলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলময় নয়।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতেই বিচারপতি রামানা বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় নির্দেশ সত্ত্বেও সরকারের ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। যদি সরকারি কর্তারা আইন অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে বিচার বিভাগের চাপ অনেকটা কমে যায়। আমি বুঝতে পারি না যে সরকারের দুই বিভাগের ঝআমেলা কেন আদালতে পৌঁছে যায়।’ এরপর আদালতের নির্দেশ অমান্য করা সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এতে বিচার বিভাগের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।’ জমি বিবাদের মতো মামলার উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, ‘যদি একটি কৃষকের সমস্যা পঞ্চায়েত স্তরে সমাধান হয়, তাহলে সে কোনওদিন আদালতে আসবে না।’
এদিকে প্রধান বিচারপতি রামানা আজ আরও বলেন, ‘সংবিধান তিনটি অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন প্রদান করে এবং তিনটি অঙ্গের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। আমাদের দায়িত্ব পালনের সময় লক্ষ্মণ রেখার প্রতি আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।’ জনস্বার্থ মামলার অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি রামানা বলেন যে এটি এখন ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ মামলা’-এ পরিণত হয়েছে এবং ব্যক্তিগত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ব্যবহৃত হয়।