নয়াদিল্লির বিষ–বাতাসে অসুস্থতা বাড়তে পারে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। তাই চিকিৎসকরা তাঁকে আপাতত রাজধানী ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সেই পরামর্শ মেনেই ভোটমুখী রাজ্য রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। পরিবারের সদস্য এবং চিকিৎসকের ইচ্ছায় আজ রাতেই জয়পুরে যাওয়ার কথা তাঁর। তাছাড়া নয়াদিল্লির বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) খুব খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে বলে খবর। এই অবস্থায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে হাওয়া বদলের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই রাজধানীর পরিবেশের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত জয়পুরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে তাঁকে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি) যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, নয়াদিল্লিতে বাতাসের গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৪০০–র কাছাকাছি। যা এককথায় ‘বিপজ্জনক’। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় ফসলের গোড়া পোড়ানো এবং দীপাবলিতে দেদার বাজি ফাটানোর জেরে এক ধাক্কায় নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণ অনেকটা বেড়েছে। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন, ছেলে রাহুল গান্ধী এখন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তবে ছত্তিশগড় যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে রাজস্থানে দেখা করবেন। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, দূষিত বাতাসের জেরে দু’মাস আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া সোনিয়ার বুকে আবার সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। কারণ তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হন তিনি।
অন্যদিকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তাঁর কথায়, ‘এটা প্রথম নয় যে দিল্লি ছেড়েছেন এখানের দূষণকে এড়িয়ে যেতে। তাঁর অ্যাসমা জাতীয় অসুখ রয়েছে। তাই চেষ্টা করা হয় দূষণকে এড়িয়ে যেতে। ২০২০ সালেও দূষণের জন্য সোনিয়া গান্ধী রাজধানী ছেড়ে গোয়া গিয়েছিলেন। আজ, মঙ্গলবার জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল জ্বর নিয়ে দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সোনিয়া। জানুয়ারি মাসেও শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল সোনিয়াকে।
আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবনে লাইভ অধিবেশন, বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোয় অভিনব থিম
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার যদিও জয়পুরে যাচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। আগামী ২৫ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন আছে রাজস্থানে। জয়পুর গিয়ে সেখানে কোনও নির্বাচনী কর্মীসভায় সোনিয়া গান্ধী অংশ নেবেন কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে কয়েক বছর ধরে সোনিয়া গান্ধী নির্বাচনী প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তবে দলের অন্দরে স্ট্র্যাটেজি তৈরির ক্ষেত্রে এখনও তিনিই প্রধান কারিগর। সোনিয়া গান্ধী উত্তরপ্রদেশের সাংসদ। ২০০৪ সাল থেকে রায়বারেলি আসন থেকে জিতে আসছেন।