আগামী ১০ জুন রাজ্যসভার ৫৭টি আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের জন্য ১০টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস। রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এই তালিকায় ৯ জন কংগ্রেস প্রার্থীই রাহুল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তথাকথিত জি-২৩ গোষ্ঠী থেকে মাত্র একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। (আরও পড়ুন: ১৫ রাজ্যের ৫৭ আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন আগামী মাসে,কার ঝুলিতে কটা আসন? একনজরে অঙ্ক)
কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন তিনজন বর্তমান সাংসদ, একজন সংখ্যালঘু নেতা, একজন মহিলা। বাকি আরও আসনগুলিতে টিকিট পেয়েছেন কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে থাকা নেতারা। প্রসঙ্গত, আগামীকালই রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। ৩ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ মুখ - প্রমোদ তিওয়ারিকে রাজস্থান থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু মুখ ইমরান প্রতাপগড়ীকে মহারাষ্ট্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিহারের বাসিন্দা রঞ্জিত রঞ্জন একমাত্র মহিলা যাকে এবার প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তিনি ছত্তিশগড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ছত্তিশগড়ের অপর এক আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন রাজীব শুক্লা। হরিয়ানা থেকে একটি আশনের জন্য দলের প্রার্থী হয়েছেন অজয় মাকেন। স্থানীয় নেতৃত্বের বিরোধিতা সত্ত্বেও কর্ণাটক থেকে প্রার্থী করা হয়েছে জয়রাম রমেশকে। মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বিবেক তঙ্খা, তামিলনাড়ু থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী পি চিদম্বরম। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরি পণ্ডিত বিবেক তাঙ্খা দীর্ঘদিন ধরেই জি-২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। তা সত্ত্বেও তাঁকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাইকমান্ড। এদিকে রাজস্থান থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা ও মুকুল ওয়াসনিক।
এদিকে কর্ণাটকের আসন থেকে কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশের নাম ঘোষণা হওয়ার পরই দল ছাড়েন সেরাজ্যের প্রবীণ নেতা চন্দ্রশেখর। এদিকে টিকিট না পেয়ে একটি টুইট করে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা লেখেন, ‘হয়তো আমার তপস্যায় কোনও কোনও ঘাটতি ছিল।’ অপর কংগ্রেস নেতা নগমা পবনের সেই টুইটের রেশ টেনে লেখেন, ‘আমার ১৮ বছরের তপস্যাও ইমরান ভাইয়ের সামনে ভেস্তে গেল।’