আগামী ১০ জুন রাজ্যসভার ৫৭টি আসনের নির্বাচন হওয়ার কথা। ৩১ মে এই আসনগুলিতে মনোনয়ন পেশেপ শেষ তারিখ। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির ২৫ জন সাংসদ অবসর নিচ্ছেন। তবে ১০ জুনের নির্বাচনে মাত্র ২২টি আসনে বিজেপির প্রার্থীদের প্রত্যাবর্তন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ জুনের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক ১১টি আসন রয়েছে। এখানে বিজেপি সাতটি আসনে জিততে চলেছে। তাছাড়া আরও যেসব রাজ্যে নির্বাচন আছে, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব রাজ্যের ভোট সমীকরণ:
উত্তরপ্রদেশ: ১১টি আসনে নির্বাচন হবে এই রাজ্যে। এর মধ্যে সাতটি আসন বিজেপির খাতায় যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনটি আসনে রাজ্যসভায় পৌঁছবেন সমাজবাদী পার্টি জোটের প্রার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে কপিল সিব্বল এবং জয়ন্ত চৌধুরীর মতো নেতারা। বিধায়কের সংখ্যা বিবেচনায় একটি আসনে ভোটের সুযোগ থাকতে পারে। উত্তরপ্রদেশে একজন রাজ্যসভার সাংসদের জন্য ৩৪ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।
উত্তরাখণ্ড: পার্বত্য রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এবারের নির্বাচনে একটি মাত্র রাজ্যসভা আসন রয়েছে। এটি বিজেপির খাতায় যাবে। এখানে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন একজন সাংসদের জয়ের জন্য।
পঞ্জাব: সীমান্ত রাজ্য পাঞ্জাবে দুটি রাজ্যসভা আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি আসনই যাবে আম আদমি পার্টির খাতায়। এখানে ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন একজন সাংসদের জয়ের জন্য।
হরিয়ানা: হরিয়ানায় দুটি রাজ্যসভা আসন রয়েছে। এই রাজ্যে একটি আসনে জিততে গেলে ৩১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপি ও কংগ্রেস একটি করে আসন পেতে পারে এই রাজ্যে। তবে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি উভয় আসবনে জয়লাভের জন্য ঝাঁপাবে।
রাজস্থান: রাজস্থানে মোট ৪টি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে। এখানে ২টি আসন সরাসরি কংগ্রেসের খাতায় যাবে। একই সঙ্গে একটি যাবে বিজেপির খাতায়। এখানে একটি আসনের জন্য ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি আসনে ভোটের সুযোগ থাকতে পারে।
মধ্যপ্রদেশ: এখানে একটি আসনের জন্য ৭৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। মধ্যপ্রদেশের মোট তিনটি রাজ্যসভার আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দুটি বিজেপি ও একটি কংগ্রেস জিততে পারে।
মহারাষ্ট্র: এই রাজ্যে ৬টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। রাজ্যসভার একটি আসনের জন্য এই রাজ্যে ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। মহারাষ্ট্রে তিনটি আসন মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি জোটের খাতায় যেতে পারে। একটি আসনে জিততে পারে বিজেপি। এ ছাড়া একটি আসনে ভোটাভুটি হতে পারে।
কর্ণাটক: বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের ৪টি রাজ্যসভা আসনের জন্য নির্বাচন হতে চলেছে। তাদের মধ্যে দুটি আসনে বিজেপি ও একটিতে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত। চতুর্থ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
তামিলনাড়ু: রাজ্যসভার ৬টি আসনের জন্য এখানে নির্বাচন হবে। এখানে একটি আসনের জন্য ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। এই রাজ্যে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট ৪টি আসনে জিতবে বলে মনে হচ্ছে। ডিএমকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে কংগ্রেসকে একটি আসন দেবে। একই সঙ্গে দুটি আসন বিরোধী দলের খাতায় যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তেলাঙ্গানা: তেলাঙ্গানায় মাত্র ২টি আসনে নির্বাচন হবে। দু’টি আসনেই জিততে পারে টিআরএস।
অন্ধ্রপ্রদেশ: এখানেও দুটি আসনই শাসক ওয়াইএসআর-এর খাতায় যাবে। এখানে একটি আসনের জন্য ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।
ওড়িশা: এখানে তিনটি আসনেই বিজেডি জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভার এক একটি আসনের জেতার জন্য এই রাজ্যে ৩৮ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।
ছত্তিশগড়: এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভার দুটি আসনই দখল করতে পারে কংগ্রেস। এখানে ৩১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন এক একটি আসনে জিততে।
বিহার: নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহারে রাজ্যসভার পাঁচটি আসনের জন্য নির্বাচন হতে চলেছে। এর মধ্যে তিনটি বিজেপি-জেডিইউ-এর খাতায় যেতে পারে। একই সঙ্গে আরজেডি দুটি আসনে জয়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। এখানে একটি আসনের জন্য ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।
ঝাড়খণ্ড: রাজ্যসভার মোট দুটি আসনের জন্য নির্বাচন হবে এই রাজ্যে। এখানে একটি জেএমএম এবং একটি বিজেপি জিততে পারে। এখানে ২৭ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন এক একটি আসনে জেতার জন্য।