বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার 'বিদ্রোহ' করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন সচিন পাইলট। তবে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার সেই সচিন পাইলটকেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হল। আজ নবগঠিত ওয়ার্কি কমিটি প্রকাশ করেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন শশী থারুরও। উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য খাড়গের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন শশী থারুর। গান্ধী বিরোধী 'বিদ্রোহী গোষ্ঠী'র অন্যতম সদস্য ছিলেন শশী। তবে দলের কাঠামো বদলের তুললেও দলবিরোধী কথা কখনও শশী বলেননি।
এর আগে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছিল শশী থারুরের শিবিরের তরফে। অভিযোগ করা হয়, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে বেনিয়ম হয়েছে। এই বিষয়ে কংগ্রেসের সভাপতি প্রার্থী শশী থারুরের নির্বাচনী এজেন্ট সলমন সোজ নির্বাচনী আধিকারিক মধুসূদন মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পরে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের সব ডেলিগেটের ভোট বাতিল করার দাবি তুলেছিলেন শশী থারুরের শিবিরের নেতারা। পাশাপাশি মল্লিকার্জুন খাড়গে শিবিরের বিরুদ্ধে ভোটগণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছিল থারুরের শিবির। শশী শিবিরের দাবি ছিল, খাড়গে ঘনিষ্ঠ বহু নেতা বেআইনি ভাবে গণনা কেন্দ্রে ছিলেন। তা নিয়ে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরে। তবে সেসব তিক্ততা দূরে সরিয়ে রেখে শশীকে ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান দিলেন খাড়গে।
এদিকে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। সেখানে অশোক গেহলট বনাম সচিন পাইলটের দ্বৈরথে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বিগত পাঁচ বছর ধরে সরকার চালানোর সময়ও এই দুই নেতার অন্তর্দ্বন্দ্বে ভুগতে হয়েছে দলকে। দু'বার সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়াতে হয়েছে সচিন পাইলটকে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য কংগ্রেস সভাপতি পদে বসেননি অশোক গেহলট। আবার সম্প্রতি নতুন করে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন সচিন পাইলট। এই পরিস্থিতিতে সচিনকে এই কমিটিতে রাখা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।