২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর। এক মহিলা পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার জন্য গিয়েছিলেন গুয়াহাটির এক সিনেমা হলে। সেই গ্যালারিয়া সিনেমাহলে তিনি পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ওই হলে ঠিকঠাক দেখাশোনা করা হত না। খালি বোতল, পপকর্নের ফাঁকা প্যাকেট, বর্জ্য পদার্থ পড়ে থাকত। সিনেমার বিরতিতে তিনি বুঝতে পারেন পায়ে কিছু একটা কামড়েছে। এরপর তার পা থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। তিনি ভাবেন সাপে কামড়েছে। এরপর তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে বোঝা যায় তাকে ইঁদুরে কামড়েছিল। এরপর তার শরীরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়। তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। সেই জোরালো ওষুধের জেরে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে ঘটনার পরে হলের কেউ তার সহায়তা করেনি বলে অভিযোগ। তবে তারা চিকিৎসার তুলনায় ফ্রি টিকিট দিতে চেয়েছিলেন বলে মহিলার দাবি। এরপর তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি সিনেমা হলের কাছ থেকে ৬,০২,২৮২.৪৮ টাকা ক্ষতিপূরণ চান। এদিকে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ জানান তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা না মেনে তারা হাসপাতালে চলে যান। তাদের হেনস্থা করার জন্য় অভিযোগ করা হয়েছে। তারা দাবি করেন পেস্ট কন্ট্রোলের সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। তারা ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চান।
ওই মহিলা একাধিক নথি দেখিয়ে দাবি করেন তিনি বার বার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি ইঞ্জেকশন নিয়েছেন। এদিকে সেই মামলার শুনানিতে উঠে আসে সেই উপহার সিনেমা হলের দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ। প্রায় আড়াই দশক আগের ঘটনা।
আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, এই যে হলের দেখভাল করা এটা একটা ধারাবাহিক ব্যাপার। একদিন দুদিনের ব্যাপার নয়। এই কর্তব্যে গাফিলতি হলে সেটা দেওয়ানি ও ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। শেষ পর্যন্ত সব দিক বিবেচনা করে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত জানিয়ে দেয়, ঠিকঠাক পরিষ্কার করা হত না হলটি। খাবার, পপকর্ন পড়ে থাকত। সিনেমাটোগ্রাফি অ্য়াক্টকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে আদালত ৪৫ দিনের মধ্য়ে ৬৭, ২৮২ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য়ে মানসিক যন্ত্রণা বাবদ ক্ষতিপূরণও রয়েছে।