মঙ্গলবার রাতেই বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। তার আগে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে সে। যার জেরে সেদেশের সরকারকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। এর পরই নড়েচড়ে বসেছে হাসিনা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত ৮টার মধ্যে দেশের উপকূলবর্তী ১০ জেলার নিচু একারা প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা।
বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলা ও ত্রাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া দফতর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। যার ফলে উপকূলবর্তী জেলার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। রাত ১০টার পর যে কোনও সময় ঝড়টি ভূভাগে প্রবেশ শুরু হতে পারে। তাই রাত ৮টার মধ্যে ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রাণকেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যে খাবার ও জলের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া গোখাদ্য মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
ঝড়ের বিপদ এড়াতে সুন্দরবন ও লাগোয়া জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে ফেরি চলাচল। চট্টগ্রাম বন্ধ পণ্য ওঠানামা বন্ধ হয়েছে। কক্সবাজারসহ সমস্ত সৈকত থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে পর্যটকদের। ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে আপাতত বাংলাদেশের উপকূলে তৎপরতা তুঙ্গে।