রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নয়া সাধারণ সম্পাদক হলেন দত্তাত্রেয়া হোসাবেল (৬৬)। শনিবার বেঙ্গালুরুতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী প্রতিনিধি সভায় সুরেশ ভাইযাজি জোশীর পরিবর্তে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছে। যে পদক্ষেপে ২০২৪ সাল থেকে শুরু হতে চলা সংঘের শতবর্ষ উদযাপনের আগে সাংগঠনিক স্তরে উল্লেখজনক পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
শতবর্ষের আগে দেশের প্রতিটি মণ্ডলে (১০-১২ টি গ্রাম) কমপক্ষে একটি শাখা চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে সংঘ। সেই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিকভাবে দক্ষ দত্তাত্রেয়াকে সংঘের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। সংঘের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, সংঘচালকের একেবারেই নিচে থাকেন সাধারণ সম্পাদক। যিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মুম্বইয়ে সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। একইসঙ্গে যেভাবে সংঘের মতাদর্শ এবং বাস্তববাদী রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেন, তাও সংঘের শীর্ষ নেতাদের নজর এড়ায়নি বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
সংঘের এক বর্ষীয়ান সদস্য বলেন, ‘সংঘের মতবাদ এবং বিজেপির রাজনীতির মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে তাঁর (দত্তাত্রেয়া) দক্ষতা ভালোমতোই জানা আছে। সংঘের শাখা-প্রশাখা বিস্তার এবং বিজেপির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কাজে লাগবে। ২০২৪ সালের (লোকসভা নির্বাচনে) পরীক্ষার মুখে পড়বে বিজেপি।’ একইসঙ্গে দত্তাত্রেয়াকে সংঘের উদারবাদী মুখ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সংঘের এক সদস্য বলেন, ‘সংঘের মতাদর্শ লঘু করার কোনও প্রশ্ন না উঠলেও আরও উদার মনোভাবের প্রয়োজন আছে। দত্তাত্রেয়াজিই সমকামিতা নিয়ে সংঘের অবস্থান জানিয়েছিলেন।’ তারইমধ্যে নয়া দায়িত্ব পাওয়ার পরই দত্তাত্রেয়া জানান, 'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইনে সমর্থন আছে সংঘের।