পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি রুজু আর্থ পাচারের মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা মুম্বই এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় দশটি বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আজ সকাল থেকে। জানা গিয়েছে, দাউদের বোন হসিনা পারকরের বাড়িতেও হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। হসিনা মারা গেলেও তার ঘনিষ্ঠ অনেকের সাথেই মারাঠা রাজনীতিকের লেনদেন আছে বলে জানা গিয়েছে।
অর্থ পাচারের পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এনআইএ এই মামলা রুজু করেছে। এরই মাঝে ইডি দাউদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত শুরু করে দিল। দাউদের হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ও সম্পত্তির লেনদেন খতিয়ে দেখা শুরু করেছে ইডি। এই সম্পত্তির লেনদেনের সাথে মহারাষ্ট্রের এক শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিকের জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান যে তারা নাগপাদা এলাকা সহ দশটি জায়গায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই নাগপাদা দাউদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিক ছিল এককালে। এই মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারেন কয়েকজন রাজনীতিকও। তদন্তকারী কর্তা জানান, কিছু রাজনীতিবিদ তাদের নজরে রয়েছেন। এজেন্সি মামলার সাথে জড়িত কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে বলে জানান সেই কর্মকর্তা।
১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার নেপথ্যে থাকায় দাউদ ইব্রাহিম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে। আপাতত পাকিস্তানে আরামের জীবন কাটাচ্ছে এই ডন। ২০২০ সালের অগস্টে পাকিস্তান সরকার ৮৮টি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং জঙ্গি নেতাদের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় পাকিস্তান প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে দাউদ ইব্রাহিম তাদের দেশেই উপস্থিত। তবে এর আগে বারংবার দিল্লি দাবি করে এলেও পাকিস্তানে দাউদের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করত ইসলামাবাদ।