মঞ্জিরী চিত্রে
করমণ্ডল বিভীষিকার রেশ ফুরোয়নি এখনও। ওড়িশা প্রশাসন জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা বাড়ল ট্রেন দুর্ঘটনা। ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনা জানিয়েছেন, ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ২৮৮। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৩টি দেহ ভুবনেশ্বরে পাঠানো হয়েছে। ৯৪টি দেহ বালাশোরের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। ১টি দেহ ভদ্রকে পাঠানো হয়েছে।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ২০৫টি দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৮৩টি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
এদিকে পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ৪০জনের মৃত্যু সম্ভবত বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হওয়ার জেরে হয়েছিল। জিআরপির রিপোর্টকে তুলে ধরে এমনটাই জানিয়েছে পিটিআই। বালাশোরে জিআরপি যে এফআইআর করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের ধাক্কা ও ওভারহেড লো টেনশন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বহুজনের।
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে খবর, আধিকারিকদের মতে, তিনটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে যায়। তার জেরে অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে যায়। এদিকে ইতিমধ্য়েই সিবিআই এই ট্রেন বিপর্যয়ের তদন্তে নেমেছে।
সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রকের অনুরোধে সিবিআই একটি মামলা রুজু করেছে। ওড়িশা সরকারের সম্মতিতে এই অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনাকে ঘিরে নানা চাপানউতোর ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই বিপর্যয় নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে তা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে চর্চা। এদিকে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ছবিও পাঠিয়েছেন।
তবে এখনও বালেশ্বরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে স্বজন হারাদের কান্না। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। কোথায় গেলে প্রিয়জনদের খোঁজ পাওয়া যাবে তা নিয়ে আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে হতাশা গ্রাস করেছে। বাংলার বহু পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়।মৃত্যুর সংখ্য়াও বাড়ছে ক্রমশ। সব মিলিয়ে ১২০০ জন জখম বলে খবর।