টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় মহিলা দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন। তবে অলিম্পিকের পরই দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। এহেন শোয়ার্ড মারিন চলতি বছরে ভারতের মহিলা হকি দলের উত্থান নিয়ে সম্প্রতি বই (Will Power: The Inside Story of the Incredible Turnaround in Indian Women's Hockey) লেখেন। সেই বইয়ের বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়েছিল ভারতীয় হকি দল। ডাচ হকি কোচের পাশাপাশি প্রকাশনা সংস্থা হার্পারকলিন্স ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও কোর্টে যায় তারা। এই আবহে সেই বইটির প্রকাশনা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, নিজের বইতে বিস্ফোরক সব দাবি করেছেন ডাচ কোচ মারিন। পাশাপাশি মহিলা হকি দলের কিছু সদস্যকে নিয়ে বেশ কিছু কথাও লিখেছেন তিনি। এই আবহে বইয়ের বিভিন্ন অংশ নিয়ে আপত্তি রয়েছে হকি খেলোয়াড়দের। এই আবহে দিল্লি উচ্চ আদালতের বিচারপতি অমিত বনশাল পর্যবেক্ষণ করেন, যেই অংশগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা যদি জনসমক্ষে চলে আসে তাহলে কিছু খেলোয়াড়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
এদিকে প্রাথমিক ভাবে আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে হকি ইন্ডিয়ার সঙ্গে মারিনের যে গোপনীয়তা রক্ষার চুক্তি হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করেছেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ নভেম্বর। এদিকে হকি ইন্ডিয়ার দাবি ছিল, মারিনের বইতে বেশ কিছু ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে কপিরাইট লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, অলিম্পিক্সে মারিনের কোচিংয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করে ভারতের মহিলা দল। মহিলা দলের দায়িত্বে আসার আগে পুরুষ দলের কোচ ছিলেন মারিন। এই আবহে ভারতীয় পুরুষ এবং মহিলা হকি দলের খেলোয়াড়দের অভিযোগ, নিজের বই বিক্রির স্বার্থে মিথ্যা কথা বলছেন মারিন। এই আবহে আদালত হকি ইন্ডিয়ার পক্ষে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।