সিঙ্গল মায়ের পরিচয়েই কাস্ট সার্টিফিকেট পাবে সন্তান। নয়া নীতির ঘোষণা করল দিল্লির আপ সরকার। বার্তা দিল পিতৃতন্ত্রের বস্তাপচা নিয়ম ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার।
মঙ্গলবার দিল্লি উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া মায়ের শংসাপত্রে জারি করা প্রথম জাতিগত শংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন। মণীশ সিসোদিয়া বলেন, এই প্রথম তফসিলি জাতিভুক্ত সিঙ্গল মায়ের পরিচয়ে তাঁর ছেলে জাতিগত শংসাপত্র পেল। এর জন্য প্রায় আট বছর ধরে লড়াই করেন ওই মহিলা।
মণীশ বলেন, করোলবাগের বিধায়ক বিশেষ রবির উদ্যোগেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এমনকী দিল্লি বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। 'তাঁর ক্রমাগত হস্তক্ষেপের কারণে গীতাদেবীর সন্তান তাঁর জাতিগত শংসাপত্রের ভিত্তিতে একটি এসসি শংসাপত্র পেয়েছে। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো হাজার হাজার সিঙ্গল এসসি/এসটি মা উপকৃত হবেন,' সিসোদিয়া জানান।
এতদিন SC/ST বর্ণ শংসাপত্র শুধুমাত্র বাবার জাতিগত শংসাপত্র বা পৈতৃক নথির ভিত্তিতে জারি করা হত। এই কারণে অনেক সিঙ্গল মাদার তাঁদের সন্তানদের জন্য SC/ST শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেননি। 'অনেকক্ষেত্রেই তাঁদের সন্তানদের জাত শংসাপত্র পেতে প্রাক্তন স্বামী/শ্বশুরবাড়ির হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। সিঙ্গল SC/ST মায়েদের সন্তান বঞ্চনা এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিস্থিতিতে বড় হওয়া সত্ত্বেও তাদের জাত শংসাপত্র জোটেনি। জাতিগত শংসাপত্রের অভাবে তাঁরা তাঁদের মৌলিক অধিকার যেমন সংরক্ষণ এবং বৃত্তিও পাননি,' রবি বলেন।
গীতাদেবীও এমনই একজন অবিবাহিত মা। তিনি গত ৮ বছর ধরে তাঁর সন্তানের জন্য SC শংসাপত্র পেতে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, তাঁর সন্তানের বাবার জাতের শংসাপত্র না থাকায় তাঁর আবেদন একাধিকবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রায় এক বছর আগে তিনি রবির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।