জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জনতা দল (সেকুলার) নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া ঘোষণা করলেন তাঁর দল লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে তিনি জেডি(এস) এবং বিজেপির মধ্যে সাম্প্রতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে বিকল্পগুলি খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই মাসের শুরুতেই বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি দাবি করেন দেবগৌড়া। তিনি বলেছিলেন, ‘বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আমাকে সেখানে থাকতে বলেছিলেন, তবে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ জেডি(এস)কে দূরে রাখতে চেয়েছিল।’
দেবগৌড়ার পুত্র ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির সাথে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কুমারস্বামী বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সাথে একটি যৌথ প্রেস মিটিং করে জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছিলেন। এমন এসময়ই বিস্ফোরক বিবৃতি জারি করলেন দেবগৌড়া।
দেবগৌড়া বলেন, ‘জেডি(এস) লোকসভা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে লড়াই করবে। আমরা পাঁচটি-ছয়টি, কিংবা একটি-দুটি আসনে যাই জয়ী হই না কেন, আমরা স্বতন্ত্রভাবে লোকসভা নির্বাচনে লড়ব। আমরা আমাদের কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে শুধুমাত্র সেইসব আসনে প্রার্থী দেবো যেখানে আমাদের শক্তিশালী জনভিত্তি রয়েছে।’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ভর করবে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির ওপর। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে কীভাবে জেডি(এস) অতীতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করেছিল। প্রসঙ্গত, এর আগে কর্ণাটকে কংগ্রেসের সাথে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে জেডিএস। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই পড়ে যায় সেই সরকার। তারপর জেডিএস-কংগ্রেস সম্পর্কে চিড় ধরে। এবার বিজেপির সাথে জোট গঠনে সরাসরি না জানালেন জেডিএস প্রধান। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়, জেডি(এস) এবং কংগ্রেস একটি জোট গঠন করেছিল। তবে, কর্ণাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৫টি। জেডি(এস) এবং কংগ্রেস একটি করে আসনে জয়লাভ করে।
এবারের নির্বাচনে দেবগৌড়া-কুমারস্বামীদের কী পরিকল্পনা তা অবশ্য এখনই স্পষ্ট নয়। একদিকে এনডিএ, অন্যদিকে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ প্রস্তুতি নিয়ে জোর কদমে। জেডি কোন পক্ষে শেষ পর্যন্ত ভিড়বে, তা সময়ই বলবে।