হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিকে ‘গোমূত্র’ রাজ্য হিসেবে কটাক্ষ করলেন ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিলকুমার এস। মঙ্গলবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় লোকসভায় ডিএমকে সাংসদ বলেন যে মূলত হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে জেতে বিজেপি। যে রাজ্যগুলিকে ‘গোমূত্র রাজ্য’ হিসেবে বিবেচনা করেন তাঁরা। আর সেই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির বক্তব্য, ‘এটা সনাতন ঐতিহ্যের বড়সড় অপমান।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'যাঁরা দেশের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে যোগ্য জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ।'
মঙ্গলবার সংসদে ডিএমকে সাংসদ বলেন, ‘..তাই এই দেশের মানুষের বোঝা উচিত যে এই বিজেপির ক্ষমতা শুধুমাত্র হিন্দি বলয়ের রাজ্যে নির্বাচন জয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। যে রাজ্যগুলিকে আমরা সাধারণত গোমূত্র রাজ্য বলে থাকি। আপনারা (বিজেপি) দক্ষিণ ভারতে আসতে পারেন না। তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা এবং কর্ণাটকে কী ফলাফল হয়েছে; তা দেখে নিয়েছেন। আমরা ওখানে খুব শক্তিশালী।’
সেইসঙ্গে ডিএমকে সাংসদ বলেন, ‘সেই পরিস্থিতিতে আপনারা (বিজেপি) যদি ওইসব রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে নিতে চান, তাহলে আমরা একেবারেই অবাক হব না। সেক্ষেত্রে ওই রাজ্যগুলির উপর পরোক্ষভাবে আপনাদের (বিজেপি) হাতে ক্ষমতা থাকবে। কারণ ওই রাজ্যগুলিতে সরাসরি ক্ষমতা দখলের কখনও স্বপ্নপূরণ হবে না আপনাদের (বিজেপি)।’
সেই ‘গোমূত্র রাজ্য’ মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডিএমককে আক্রমণ শানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘আমার মতে, এটা সনাতন ঐতিহ্যের বড়সড় অপমান। গোমূত্রের কী কী গুণ আছে, তা সম্ভবত ডিএমকেও বুঝে যাবে। কারণ ওরা জানে না, এই বিষয়টা মেনে নেবে না দেশের মানুষ। যাঁরা দেশের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে যোগ্য জবাব দেবেন মানুষ।’
উল্লেখ্য, গত রবিবারই চারটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। অর্থাৎ হিন্দি বলয়ের তিনটি রাজ্যেই জিতেছে। তবে তেলাঙ্গানায় হেরে গিয়েছে। তেলাঙ্গানায় অবশ্য সরকার গঠনের লড়াইয়ে ছিল না বিজেপি। তার আগে কর্ণাটকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। তার ফলে আপাতত দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্যে ক্ষমতায় নেই কেন্দ্রের শাসক দল।