করোনা সংক্রমণ নিয়ে বড়সড় আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। গত শনিবার তিনি বলেন, 'করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ছড়াচ্ছে, তা অনেক বেশি সংক্রামক। এমন কিছু মিউটেশন রয়েছে যে তাতে কোনও টিকাও কাজ করবে না।' এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
গত বছর অক্টোবরে প্রথম করোনার ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। B.1.617 নামের এই ভ্যারিয়েন্ট যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেন স্বামীনাথন। তিনি জানান, এটির কিছু মিউটেশন রয়েছে যা অনেকটাই বেশি সংক্রামক।
শুধু তাই নয়, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বলেন, 'বহু পরিমাণে এই সংক্রমণ এটিকে আক্রান্তের দেহের অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধেও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। ফলে করোনা টিকা নিয়েও কোনও কাজ হবে না।' 'আর এভাবেই প্রতিদিন বিপুল সংক্রমণের জেরে বাড়ছে মিউটেশন। ফলে আরও শক্তিশালী, ক্ষতিকর ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব হতে পারে। ফলে ধীরে ধীরে সেগুলি টিকার বিরুদ্ধেও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট রূপান্তরিত হবে সময়ের সঙ্গে।'
কিন্তু, বর্তমানে দ্বিতীয় ওয়েভের পেছনে কি এটাই কারণ?
স্বামীনাথনের কথায়, 'শুধু এই ভ্যারিয়েন্টের কারণেই ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে তা নয়।' এর পিছনে তিনি 'বিশাল সামাজিক সমাগম ও বড় জমায়েত' দায়ী বলে জানান। তিনি বলেন, 'ভারতের মতো বিশাল দেশে তলে তলে সংক্রমণ হতে থাকলেও সঙ্গে সঙ্গে তা জানা সম্ভব নয়। আর কয়েক মাস ধরে সেটাই হয়েছে। আর সেই পর্যায়ে সংক্রমণ আটকানোও অসম্ভব।'
শুধু টিকাকরণের মাধ্যমে করোনা আটকানো সম্ভব?
কেবলমাত্র টিকার উপর ভরসা করলে হবে না। এমনটাই বলছেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী। তাঁর ব্যাখ্যা, 'ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটিরও বেশি। এর ৭০-৮০%-কে টিকা দিতেও বহু মাস এমনকী বছর পর্যন্ত লাগতে পারে।'