এক কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে ১৮.২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে প্রতি কিমি রাস্তা তৈরি করতে খরচ হল ২৫০.৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দ অর্থের প্রায় ১৪ গুণ টাকা খরচ হয়েছে। দিল্লি-গুরুগ্রাম দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে এমনই আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ল কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ক্যাগ) রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাস্তা তৈরি করতে বরাদ্দ অর্থের ১৪ গুণ বেশি টাকা কেন খরচ হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। ২০২২ সালের এপ্রিলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল যে কোনওরকম ঝঞ্জাট ছাড়াই যাতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেজন্য দ্বারকা এক্সপ্রেসে আট লেনের এলিভেটেড করিডর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই করিডরে ঢোকা এবং বেরনোর বেশি ‘পয়েন্ট’ রাখা হয়নি। সেটাই খরচ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
‘ভারতমালা পরিযোজনার প্রথম ফেজ রূপায়ণ - ২০১৭-১৮ সাল থেকে ২০২০-২১ সাল’ রিপোর্টে ক্যাগ জানিয়েছে, ২০৩১ সালের গুরুগ্রাম-মানেসর শহরাঞ্চল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল হরিয়ানা সরকার। সেজন্য প্রাথমিকভাবে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় চলে আসে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে। সেই পরিস্থিতিতে ২৯.০৬ কিলোমিটারের সেই এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি কিমি রাস্তা তৈরির জন্য কত টাকা খরচ হবে, তা নির্ধারণ করেছিল আর্থিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। প্রতি কিমি রাস্তা তৈরির জন্য ১৮.২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু আদতে খরচ হয়েছে ২৫০.৭৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ভোল বদলে যাবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের! তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সুপার হাইওয়ে, কবে চালু?
কেন দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা আছে। ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি এবং গুরুগ্রামের ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য সেই দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে ক্যাগের রিপোর্টের জানানো হয়েছে, আটটি এলিভেটেড লেনের পরিকল্পনা করা বা তৈরি করার স্বপক্ষে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য বিষয় তুলে ধরা হয়নি। তবে শুধু দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ অর্থ এবং আসল খরচের মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়েছে বলে জানানো হয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে।