সুভাষ পাঠক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবে রূপ পাবে শীঘ্রই। ৬লেনের রাস্তা। এটিকে NH319B বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। শুক্রবার এনিয়ে নোটিফিকেশন জারি করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে ৬১০ কিমি দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়েটি হবে NH319B।
পুরুলিয়া হয়ে এটি বাংলায় প্রবেশ করবে। তার আগে এটি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের একাধিক জেলার উপর দিয়ে যাবে। আরসিডির এক ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হবে। জাতীয় সড়ক হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পরে এই কাজ হবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক এটি ঠিক কোথা থেকে শুরু হচ্ছে?
বারাণসী থেকে শুরু হবে এই রাস্তা। এরপর চান্দ হয়ে বিহারে প্রবেশ করবে। এরপর গয়ার ইমামগঞ্জ হয়ে এই রাস্তা বিহার থেকে বের হবে। সব মিলিয়ে বিহারে এই রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৬০ কিমি। কৈমুর পাহাড়ের মধ্য়ে দিয়ে প্রায় পাঁচ কিমি টানেল তৈরি হবে। ঔরঙ্গাবাদে প্রবেশের আগে শোন নদী পার হবে এই রাস্তা।
সূত্রের খবর, এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য সব মিলিয়ে ৩৫,০০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হচ্ছে। হাজারিবাগ, রামবাগ হয়ে এই রাস্তা পুরুলিয়ায় প্রবেশ করবে। ঝাড়খণ্ড আরসিডির সঙ্গে সংযোগ করবে এই রাস্তা।
আধিকারিকদের মতে, এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে বারাণসী থেকে কলকাতার যাওয়ার সময় অনেকটা কমে যাবে। প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে এই সময়। একবার এই জাতীয় সড়ক তৈরি হয়ে গেলে বারাণসী-কলকাতা যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। বর্তমানে এই ৬৯০ কিমি অর্থাৎ বারাণসী থেকে কলকাতা সময় লাগে প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা। তবে এই রাস্তা একবার তৈরি হয়ে গেলে সময় অনেকটাই বাঁচবে। এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে কলকাতা, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক অনেকটাই বাড়বে। গয়াতে যে লজিস্টিক পার্ক তৈরি হচ্ছে সেটার সঙ্গেও এটার যোগাযোগ তৈরি হবে। কলকাতা বন্দর থেকে জিনিসপত্র নামানোর পরে দ্রুত তা বিহারে, ঝাড়খণ্ডে এই রাস্তা দিয়েই চলে আসবে।
নিঃসন্দেহে বড় উদ্যোগ। একেবারে ঝকঝকে রাস্তা তৈরি হবে। অনেকের মতে, একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসী। আর অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের শহর কলকাতা। রাজনৈতিক দূরত্ব যতই থাক, রাস্তা অবশ্য যাতায়াতের দূরত্ব কমিয়ে দিচ্ছে অনেকটাই। এবার এই দুই প্রধান শহরের মধ্য়ে যোগাযোগের সময় অনেকটাই কমে যাচ্ছে।