ফারিহা আখতার
অ্য়ানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট (ASER) বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে একাধিক উদ্বেগের তথ্য় সামনে এসেছে। ১৪-১৮ বছর বয়সিদের মধ্য়ে অন্তত ৪২.৭ শতাংশ পড়ুয়া ইংরেজিতে একটা বাক্যও পড়তে পারেন না। ১৪-১৮ বছর বয়সি ২৫ শতাংশ পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির পড়াটাও নিজের আঞ্চলিক ভাষাতেও ভালো করে পড়তে পারে না।
ASER 2023। বিয়ন্ড বেসিকস শীর্ষক এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম ফাউন্ডেশন এই রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে অন্য়তম ভূমিকা নিয়েছে। মূলত গ্রামীণ ভারতে ১৪-১৮ বছর বয়সিদের মধ্য়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ২৬ রাজ্য়ের ২৮ জেলার ৩৪,৭৪৫ সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা গিয়েছে চমকে দেওয়া রিপোর্ট।
এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সব মিলিয়ে ৮৬.৮ শতাংশ ১৪-১৮ বছর বয়সিরা স্কুল অথবা কলেজে নাম লিখিয়েছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে স্কুল-কলেজ কোথাও পড়ে না এমন ১৪ বছর বয়সি রয়েছেন ৩.৯ শতাংশ, ১৬ বছর বয়সি রয়েছেন ১০.৯ শতাংশ ও ১৮ বছর বয়সি রয়েছেন ৩২.৬ শতাংশ।
তবে এই পরিস্থিতির জন্য কোভিডকে কিছুটা হলেও দায়ী করা হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বয়সে বড়় অনেকেই স্কুলের পড়া মাঝপথেই ছেড়ে দিয়েছে। তবে স্কুল ছুটের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কারণ সরকারের বিশেষ নীতি।
কিন্তু স্কুলে গেলেই যে তাদের বিরাট উন্নতি হয়ে যাচ্ছে এমনটা নয়। ২০১৭ সালে দেখা গিয়েছিল ১৪-১৮ বছর বয়সিদের মধ্য়ে ৭৬.৬ শতাংশ পড়ুয়া ক্লাস ২ এর পড়া পড়তে পারেন। অঙ্কের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল ৭৩.৬ শতাংশ।দেখা যাচ্ছে ৩৯.৫ শতাংশ ওই বয়সী ছেলেমেয়েরা ক্লাস ৩-৪ স্তরের অঙ্কের ভাগ পারছে। তবে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কিছুটা বেড়়ে হয়েছে ৪৩.৩ শতাংশ।
তবে বাকি পরিস্থিতিটা খুব করুণ। ৩-১ সংখ্য়ার ভাগ করতেই ওই বয়সিরা মহা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে।
৮৫ শতাংশ ওই বয়সি( ১৪-১৮) ০ থেকে স্কেলে মাপ করতে পারে। আর ০ থেকে সরিয়ে দিলেই সেই শতাংশ দাঁড়াচ্ছে ৩৯শতাংশ।
তবে মেয়েরা( ৭৬ শতাংশ) ছেলেদের (৭০.৯) থেকে ক্লাস ২ এর পড়া নিজের ভাষায় বেশি ভালো পড়তে পারে। তবে অঙ্ক আর ইংরেজিতে ছেলেরা তুলনায় ভালো।
দেখা যাচ্ছে একাদশ-দ্বাদশে ৫৪ শতাংশ কলা বিভাগে ভর্তি হচ্ছে, ৯.৩ শতাংশ কমার্সে আর ৩৩.৭ শতাংশ বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হচ্ছে।