আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ এক পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে যে দরিদ্রদের জন্য ১০% কোটা চালুর নিয়মটির কারণে জেনারেল শ্রেণির ৫০% আসনে থাবা বসানো যেতে পারে না। কারণ এই শ্রেণিকে সংরক্ষণের পরিধির বাইরে রাখা হয়েছে। এই শ্রেণিভুক্তদের সম্পূর্ণরূপে মেধার ভিত্তি নিয়োগ বা ভর্তি করা হয়।
ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীর ফলে সাধারণ শ্রেণির মোট আসন ৫০ শতাংশ থেকে কমে ৪০ শতাংশ হবে। এটি সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের পদ খেয়ে নিচ্ছে।’ উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়টি এনেছিল কেন্দ্র। সেই সংবিধান সংশোধনের বিষয়েই বুধবার কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম বেঞ্চ।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, জেনারেল বিভাগের এই সংরক্ষণকে স্বাগত জানানো উচিত। তাঁর যুক্তি, এই সংকরক্ষণের ফরে অসংরক্ষিত সাধারণ শ্রেণির মধ্যে যারা দরিদ্র, তাদের মূল স্রোতে আনার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলে, অসংরক্ষিত বিভাগে ‘মেধাবীদের’ ক্ষতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘আপনারা (কেন্দ্র) যদি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য বিশেষ সংরক্ষণ আনতে চান, তাহলে আগের সংরক্ষণের মধ্যে সেটাকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’ এর প্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল পালটা যুক্তি দেন, এই আদালত যদি মেনে নেয় যে অর্থনৈতিক মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে সংরক্ষণ অনুমোদিত, তবে আদালতের এই সংসদে পাস হওয়া এই আইনটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। এরপর আদালতের তরফে কেন্দ্রের কাছে EWS সংরক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়।