বিজেপির ক্ষেত্রে ফেসবুকের ‘নরম অবস্থান’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। করা হচ্ছে গালিগালাজ। এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ফেসবুকের ভারত, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার ‘পাবলিক পলিসি’-র অধিকর্তা আঁখি দাস। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনিই নাকি বলেছিলেন, '(প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদীর দলের রাজনীতিবিদদের (বিধি) লঙ্ঘনে শাস্তি দিলে দেশে (ভারত) সংস্থা ব্যবসার সম্ভাবনা ধাক্কা খাবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ দিল্লি জেলা পুলিশের সাইবার সেলের কাছে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ ‘সাইবার প্রিভেনশন অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড ডিটেকশন’ (সাইপ্যাড) তদন্ত করছে। পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইমেল মারফত যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। টুইটারে খুনের হুমকি, ফেসবুকে অন্যান্য হুমকি-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি ছড়ানো হচ্ছে। তাতে কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফেসবুকের ওই আধিকারিক। সেই সংক্রান্ত কয়েকটি লিঙ্ক, স্ক্রিনশটও মেলে পাঠিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘বাজেভাবে’ এবং ‘বিকৃতভাবে’ খবর তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘কুরুচিকর মন্তব্য, সাইবার বুলিং এবং অনলাইনে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছি।’ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজুর দাবি তুলেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর তরফে ওই ফেসবুক আধিকারিককে ফোন করা হয়। মেসেজ করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।