তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র ছিলেন ফয়জান আহমেদ। গত বছর অক্টোবর মাসে ক্য়াম্পাসের মধ্য়ে হস্টেলের ভেতর ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার সেই ঘটনার তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন ওই ছাত্রের মা।
সিনিয়র আইপিএস কে জয়রামন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর নেতৃত্বেই তৈরি হয়েছে স্পেশাল ইনভেশটিগেশন টিম। তৃতীয় বর্ষের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছাত্র ছিলেন ফয়জান। তার দেহ মিলেছিল হস্টেলের ঘর থেকে। মেধাবী ছাত্রের মৃত্য়ুর ঘটনায় নার্কো অ্য়ানালিসিস টেস্টের জন্য অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এবার সেই তদন্তে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন ওই ছাত্রের মা। তিনি লিখেছেন, কে আমার ছেলেকে খুন করেছে তা খুঁজে বের করার জন্য আমি আপনার হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি। খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য় অনুরোধ করছি। কেন তাকে খুন করা হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্যও তিনি অনুরোধ করেছেন।
তবে আইআইটি কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ইতিমধ্য়েই মনে করছে যে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু ছাত্রের পরিবারের দাবি তাকে খুন করা হয়েছে।
অসম থেকে রাহানা আহমেদ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আমরা বিচার চাই। সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তাঁর সহযোগিতা চাইছি। পুলিশ যখন তদন্তে নেমেছিল তখন বলেছিল আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। পরে আবার আদালত সিট গঠন করতে বলল।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট এক অবসরপ্রাপ্ত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।আসলে প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল। এরপর দ্বিতীয় রিপোর্ট। সেখানে মৃতের মাথায় হেমাটোমার লক্ষণ। প্রথম রিপোর্টে এটা ছিল না।
দ্বিতীয় রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল ছাত্রের।
এনিয়ে এরপর চরম রহস্য দানা বাঁধে। তদন্ত এগোতে থাকে। ২০২২ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন এই তদন্তকে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এবার মৃত ছাত্রের মা-ই চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।