সকালে কৃষি আইনের স্বপক্ষে ‘সুফল’ তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না। বরং আন্দোলন আরও জোরদার করতে আগামী ১৪ ডিসেম্বর (সোমবার) অনশন করার সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
শনিবার দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে সাংবাদিক বৈঠকে সংযুক্ত কিষান আন্দোলনের নেতা কানওয়ালপ্রীত সিং পান্নু জানান, নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক সংগঠনের নেতারা সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সিংঘু সীমান্তে অনশন করবেন সকল কৃষক নেতারা। তার আগেরদিন (রবিবার) সকাল ১১ টা থেকে রাজস্থানের শাহাজাহানপুর থেকে কয়েক হাজার চাষিরা ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করবেন। জয়পুর-দিল্লি হাইওয়ে ধরে তাঁরা দিল্লির দিকে এগিয়ে আসবেন। দেশের অন্যান্য প্রান্তের কৃষকরাও বিক্ষোভে সামিল হতে আসছেন। সকলে মিলে আগামিদিনে কৃষক আন্দোলনকে আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক নেতা।
পান্নু অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু বিক্ষোভরত কৃষকরা সেই চেষ্টা সফল হতে দেবেন না। আন্দোলন যাতে শান্তিপূর্ণভাবেই হয়, সেদিকে পুরোপুরি নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃৃষক নেতা।
কৃষকদের আন্দোলনের মঞ্চকে যাতে 'অপব্যবহার' না করা হয়, আন্দোলনরত কৃষকদের তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে কেন্দ্র। গত কয়েকদিনে টিকরি সীমান্তে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্তদের মুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর দাবি করেন, বিক্ষোভের পরিবেশ বিনষ্ট করতে কৃষকদের ছদ্মবেশে 'সমাজবিরোধী' এবং 'বামপন্থী এবং মাওবাদী'-রা ষড়যন্ত্র করছেন।
তারইমধ্যে পান্নু জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে সবার আগে কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তিনি বলেন, 'যদি সরকার আলোচনা করতে চায়, আমরা তৈরি। তবে আমাদের মূল দাবি থাকবে তিনটি আইন প্রত্যাহার। তারপরই আমাদের অন্যান্য দাবির বিষয়ে আলোচনা করব।' তারইমধ্যে শনিবার হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কৃষিমন্ত্রী।