রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কাতারে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের প্রথমেই চমক এনে মেসিদের আর্জেন্তিনাকে হারিয়েছে সৌদি আরব। কিন্তু সেই ম্যাচও দেখতে টিভিতে পাননি সৌদির বাসিন্দারা। কারণ, ফিফা বিশ্বকাপ কাতারের যে চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে সেই ‘টড টিভি’ কাতারের ব্রডকাস্টার ‘বি ইন মিডিয়া’ গোষ্ঠীর। যে গোষ্ঠীর চ্যানেল সৌদি আরবে বহুদিন ধরে নিষিদ্ধ ছিল কাতার ও সৌদির ঠাণ্ডা লড়াইয়ের জেরে। তবে তা ২০২১ সালে ফের চালু হয় সৌদিতে। এরপরও ২০২২ সালে সেই চ্যানেলের সম্প্রচারিত কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদি আরবে সম্প্রচারিত হচ্ছে না।
কাতারের ‘টড টিভি’র তরফে জানানো হয়েছে, তাদের হাতের নিয়ন্ত্রণে এই পরিস্থিতি নেই। তারা জানিয়েছে,' সৌদি আরবে আমাদের সম্প্রচার রুখে দেওয়া হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে টড টিভিতে যা ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ এর অফিশিয়াল পার্টনার। ' প্রসঙ্গত, কূটনৈতিক আঙিনাই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণেই এই ম্যাচের সম্প্রচার স্তব্ধ হয়েছে সৌদি আরবে। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় টড টিভির সম্প্রচার সম্পন্ন হচ্ছে। তবে সৌদিতে এই সম্প্রচার বন্ধের নেপথ্যে রয়এছে সৌদির রাদপুত্রের রোষানল। যা গিয়ে পড়েছে কাতারের ওপর। গোটা পর্বের সূত্রপাত ২০১৭ সাল থেকে।
২০১৭ সালে সৌদির রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমন কাতারকে বয়কট করার সমবেত ডাক দিয়েছিলেন। মুহূর্তে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, ইউএই, বাহারিন , মিশর। অভিযোগ একটাই ছিল, কাতার ভীষণভাবে ইরানের ঘনিষ্ঠ ও তারা সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে। সেই সময়েই কাতারের সম্প্রচারকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে সৌদি। এদিকে, জানা গিয়েছে, ফিফা বিশ্বকাপের শুরুতে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় কিছুটা দেখা গেলেও, তারপর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে সৌদিতে। অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁদের টাকা যেন ফেরত দেওয়া হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের সম্প্রচার নিয়ে এই জটাজাল কার্যত ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে কূটনৈতিক আঙিনায়।